• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রোনালদোর মহীয়সী মা

প্রকাশিত: ১৪:৩৫, ২৭ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
রোনালদোর মহীয়সী মা

সংগৃহীত ছবি

পর্তুগালের অধিনায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরো। এক সংবাদিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে জিজ্ঞাসা করেছেন, তোমার মা এখনো তোমার সাথে থাকে কেন?  তুমিতো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সাহায্য কর, তবে তুমি কেন তোমার মার জন্য একটি বাড়ি বানিয়ে দেও না?


উত্তরে সংবাদিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বলেছিলেন, "আমার মা বহু কষ্ট করে আমাকে বড় করেছেন এবং তিনি আমার জন্য তার জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন, তিনি ক্ষুধার্ত থেকে ঘুমাতে যেতেন, শুধু আমাকে খেতে দিতেন, আমাদের কাছে কোন টাকা ছিল না।
আমি আমার প্রথম জুতা কিনতে ৭ দিনের মধ্যে ৭ দিন এবং রাতে ক্লিনার হিসাবে কাজ করেছি, যাতে আমি একজন খেলোয়াড় হতে পারি। তখন আমাদের তেমন টাকাপয়সা ছিল না। জীবন ছিল একটা যুদ্ধ। বড় ভাই কিংবা কাজিনরা যেই পুরোনো জুতোগুলো আমাকে দিত, সেগুলো পরে খেলতাম। ছেলেবেলায় মানুষ টাকাপয়সা নিয়ে ভাবে না, সে বয়সে আনন্দটাই সব। সেই দিনগুলোতে আমি মনের খুব গভীর থেকে আনন্দ টের পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমার কোনো ভয় নেই, কিছু মানুষের ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে। পর্তুগিজ ভাষায় আমরা বলি, ‘মেনিনো কুয়েরিদো দা ফ্যামিলিয়া।’

আমার সমস্ত সাফল্য আমি তাকে উৎসর্গ করেছি এবং আামাকে আদর করে মানুষের মতো মানুষ বানানোর জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ এবং যতদিন তার জীবন আছে, আমি চাই সে সর্বদা আমার পাশে থাকুন, অর্থ দিয়ে সব কিছু হয় না, 
আমি যা দিতে পারি তাকে, সবকিছুই তার আছে কিন্তু সন্তানের ভালোবাসা যত্ন সেবার চেয়ে বড় কিছু হয় না।
পৃথিবীতে তিনি আমার সবচেয়ে বড় আশ্রয় এবং বিধাতার থেকে আমার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।

কৌশরে রোনালদো
রোনালদোর জন্ম ১৯৮৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি, পর্তুগালের পশ্চিমে অবস্থিত মাদেইরা নামের ছোট্ট একটি দ্বীপে। শৈশব থেকেই তাঁর দারিদ্র্যের মাঝে বেড়ে ওঠা। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রোনালদো এক রুমে সবার সাথে গাদাগাদি করে থাকতেন। তার মা ছিলেন একজন রাঁধুনী, আর বাবা ছিলেন বাগানের মালী। স্কুলে রোনালদোকে তার সহপাঠীরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো কারণ তার বাবা স্কুলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবেও মাঝেমধ্যে কাজ করতেন।

দারিদ্র্য-অপমানের দুঃখ ভুলতে শিশু রোনালদো বেছে নেন ফুটবলকে। হাতের কাছে একবার ফুটবল পেলে আর কিছু লাগতো না তাঁর, সব কষ্ট ভুলে যেতেন! এতোটাই খেলার পাগল ছিলেন, যে ঘুমানোর সময়ও ফুটবল জড়িয়ে ধরে ঘুমাতেন! পড়ালেখায় একদমই মন ছিল না তাঁর। মা পড়াশোনার কথা বললেই রোনালদোর ঝটপট উত্তর হতো, ‘আজকে স্কুলে কোন হোমওয়ার্ক দেয় নি তো!’ তাও জোর করে পড়তে বসালে, মা একটু চোখের আড়াল হলেই চুপিচুপি ফুটবল হাতে জানালা দিয়ে পালিয়ে বেরিয়ে পড়তেন রোনালদো!

 

মন্তব্য করুন: