• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় দেশেই নির্ণয় হবে ক্যানসার

প্রকাশিত: ২৩:২০, ২৪ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় দেশেই নির্ণয় হবে ক্যানসার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাইক্লোট্রন সুবিধাসহ পিইটি-সিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় ক্যানসার নির্ণয় সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন। 

রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এই ল্যাব স্থাপন করা হয়। 

জানা যায়, বিশ্বে ৯০ শতাংশের বেশি ক্যানসার শনাক্ত করা হয় পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি (পিইটি) ও সিঙ্গেল প্রোটন ইমিশন কম্পিউটেড টমোগ্রাফি (এসপিইসিটি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু এই দুই প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে ছিলো বিএসএমএমইউ। ফলে সরকারিভাবে ৩৫ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হতো। এবার সেই খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) এমনটাই জানিয়েছে। 

ল্যাব স্থাপনকালে অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন বলেন, নিজস্ব সাইক্লোট্রন ল্যাব স্থাপনের ফলে ক্যানসার নির্ণয়ের খরচ কয়েক গুণ কমে আসবে। আগে রেডিও আইসোটোপ আমদানি করতে হতো বা বেসরকারি ল্যাব থেকে কিনতে হতো। ফলে খরচ বেশি হতো। আমরা এই ল্যাব থেকে এখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবে রেডিও আইসোটোপ সরবরাহ করবো। 

উল্লেখ্য, সাইক্লোট্রন হলো এক ধরনের কণা ত্বরক যন্ত্র। বিদ্যুচ্চালিত এই যন্ত্র আধানযুক্ত কণার একটি রশ্মি তৈরি করে যা চিকিৎসা, শিল্প ও গবেষণার নানান কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মেডিক্যাল সাইক্লোট্রন তৈরি করে প্রোটন রশ্মি। বিভিন্ন রেডিও আইসোটোপ তৈরিতে এই প্রোটন রশ্মি কাজে লাগে। সাইক্লোট্রন মেশিনে পজিট্রন বিকিরণ বা ইলেকট্রন শোষণের ফলে সাইক্লোট্রন ক্ষয় পদ্ধতিতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ উৎপাদন করা হয়। 

পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফির (পিইটি) এবং সিঙ্গেল প্রোটন ইমিশন কম্পিউটেড টমোগ্রাফিতে (এসপিইসিটি) ব্যবহার করা হয় গামা রশ্মি। ইলেকট্রন শোষণের সময় এই রশ্মি তৈরি হয়। এই দুই ইমেজিং কৌশলই সাইক্লোট্রনে উৎপাদিত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ওপর নির্ভরশীল। 

তেজস্ক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যালসে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ একটি অপরিহার্য উপাদান। তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রোগ নির্ণয় এবং কিছু থেরাপিতে এই পদ্ধতির ব্যবহার হয়ে আসছে। 

নিউক্লিয়ার মেডিসিনে খুবই সামান্য পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, চলমান জৈব প্রক্রিয়া অথবা নির্দিষ্ট কোনো অসুখের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে এই তেজস্ক্রিয়তা ব্যবহার করা হয়।


 

বিভি/রিসি 

মন্তব্য করুন: