ডিসেম্বর নয়, নভেম্বরেই দেশে ঢুকেছিলো ওমিক্রন
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছিলো ১৪ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্যে এমনটfই জানা গেছে।
জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জিনব্যাংকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়। বিএসএমএমইউ-তে সিকোয়েন্সিং করা সেই নমুনাটি সংগ্রহ করা হয়েছিলো গত ১৪ নভেম্বর।
এর আগে সরকারে পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, গত ৬ ডিসেম্বর সংগ্রহ করা দু’টি নমুনায় ওমিক্রন ধরা পড়ে। ১১ ডিসেম্বর, শনিবার ঢাকার শিশু হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে প্রথম ওমিক্রনের রোগী ধরা পড়ার কথা জানান।
বিএসএমএমইউ-র জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটিকেই দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম উপস্থিতি হিসেবে মনে করা হচ্ছিলো।
জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট জিনব্যাংকের তথ্য আরও বলছে, ১৪ নভেম্বরই কেবল নয়, এরপরে সংগ্রহ করা আরও নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়েও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পেয়েছে বিএসএমএমইউ।
বিএসএমএমইউ থেকে অবশ্য এখনো এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এসব জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ-এর।
দেশে করোনায় সবশেষ ৬ হাজার ৬৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় আরও ১০ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ চার ও ছয়জন নারী রয়েছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: