১৬ বছরের কমবয়সীদের ফেসবুক ব্যবহারে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে

১৬ বছরের কমবয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে- এমন বিধান রেখে অস্ট্রেলিয়ায় একটি আইনের খসড়া পেশ করা হয়েছে। ফেসবুক-টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যদি সেই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়, তবে ‘মাল্টিমিলিয়ন’ ডলার জরিমানার বিধান থাকবে বলে জানানো হয়েছে রয়টার্স-এর খবরে।

অনলাইনে কমবয়সীদের তথ্যের সুরক্ষার জন্য প্রস্তাবিত আইনটি বাস্তবায়িত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে যেকোনো উপায়ে ব্যবহারকারীর বয়স জানতে হবে। শিশুদের তথ্য সংগ্রহের সময় অবশ্যই তাদের মঙ্গলকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, অনলাইন ফোরাম রেডইট, ডেটিং অ্যাপ বাম্বল।

আরও পড়ুন:
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে অভিভাবকের অনুমতি বাধ্যতামূলক
আয়কর রিটার্ন জমার অ্যাপস ডিজিট্যাক্স চালু
অফিসিয়ালি ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছে আইফোন-১৩

‘অনলাইন প্রাইভেসি বিল’ নামের প্রস্তাবিত এই আইন পাস হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বয়স নিয়ন্ত্রণে কঠোরতম দেশগুলোর একটি হবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সংগে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় একধাপ এগোবে দেশটি। 

সংবাদমাধ্যমের কনটেন্ট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম দেখাতে চাইলে ওই সংবাদমাধ্যমের সংগে চুক্তি করা এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তাছাড়া অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধেও কঠোর হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মিশেলিয়া ক্যাশ বলেন, তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা এবং ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করছি আমরা। নির্দিষ্ট মানদণ্ড না মানলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুতর শাস্তি দেওয়ার কথা আছে আমাদের আইনের খসড়ায়।

প্রস্তাবিত আইন না মানলে অস্ট্রেলিয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভারের ১০ শতাংশ, আইনটি ভেঙে যতো আয় করেছে তার তিন গুণ কিংবা এক কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করার বিধান করার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ ২১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করা যায়।

তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘ইনফরমেশন কমিশনার’ সোমবার (২৫ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বেশিরভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ন্যূনতম বয়স ১৩ করা হয়েছে, তবে তা যাচাই করার কোনো ব্যবস্থা নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর।