দেশের জনগণ চাইলে পদত্যাগ করতে রাজি মমতা বন্দোপাধ্যায়
দেশের জনগণ চাইলে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। এই পদ নিয়ে আমার উদ্বেগ নেই। আমিও ন্যায়বিচার চাই। আমি বিচার নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
জানা যায়, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে অফিস হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এর আগে পর পর দুই দিন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের জন্য বৈঠক ভেস্তে গেল। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুটি প্রধান শর্ত দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তারা চেয়েছিলেন, এই বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হোক। ৩০ জন প্রতিনিধি নিয়ে নবান্নে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন তারা। তবে এই দুই শর্তেই আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন বলছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নবান্নের সভাঘরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠক হয়নি। এরপর নবান্ন থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা জানান, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। কিন্তু কেউ কেউ বিচার চায় না, চায় ক্ষমতার চেয়ার।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মমতা বলেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যারা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ সেটা বুঝবেন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: