এখনও জ্বলছে ক্যালিফোর্নিয়া: ছড়িয়ে পড়ছে ক্লে ফায়ার

ছবি: সংগৃহীত
ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড এলাকায় ক্লে ফায়ারের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৪০ একর এলাকাজুড়ে এ ক্লে ফায়ার ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, এসব এলাকা থেকে লোকজনকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, আগুনের কারণে বাতাসের মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে, জনসাধারণকে অতিরিক্ত সতর্কতার সাথে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, অগ্নিকাণ্ডের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এবং লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র ক্যারেন বাস। কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, পানি সরবরাহের অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এদিকে, আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার ফাইটাররা। তবে, সড়ক অবরুদ্ধ হওয়া ও বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ রিচ থম্পসন জানিয়েছেন, বাতাসের গতিবিধি এবং আর্দ্রতা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একইরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ফরেস্ট্রি অ্যান্ড ফায়ার প্রোটেকশন বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ক্লে ফায়ার এখন পেডলি রোড এবং ভ্যান বুরেন বুলেভার্ড, জুরুপা ভ্যালি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, আগুন লাগার যথাযথ কারণ এখনও জানা যায়নি।
এদিকে, বেশ কিছু অঞ্চলে পরিস্থিতি কিছুটা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। প্যালিসেইডস ফায়ার এখন ৬৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে, এ আগুনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যাসিফিক প্যালিসেইডস, মালিবু, সান্তা মনিকা এবং ব্রেন্টউড এলাকার বিভিন্ন স্থান। ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া প্যালিসেইডস এবং ইটনের দাবানলে প্রায় ১৪,০০০টিরও বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এদিকে, ইটন ফায়ার বর্তমানে ৮৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এদিকে, সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যেহেতু, সান্তা আনা বাতাস এখনও প্রবাহিত হচ্ছে এবং মাটি অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে পড়েছে। এসব কিছুই আগুনের বিস্তারকে আরও বাড়িয়ে দিতে সহায়ক।
এদিকে, জুরুপা ভ্যালিতে ৩৮ একর এলাকায় আগুন নেভাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন ফায়ার ফাইটাররা। ইতোমধ্যেই, এ আগুন লোকালয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
তবে, আগুনের মোকাবেলায় সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ এলাকায় আগে থেকেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডবে গত দুই সপ্তাহে এখন পর্যন্ত ২৭জনের মৃত্যু এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: