• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করছে হাসিনার ঘনিষ্ঠজনরা

প্রকাশিত: ১১:৫২, ২০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৪:৩২, ২০ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করছে হাসিনার ঘনিষ্ঠজনরা

দ্য গার্ডিয়ান

বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব যখন অবশেষে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে, তখন তার নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বিক্ষোভকারীর রক্ত ঝরায়। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার প্রায় এক বছর পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছে। এরই মধ্যে ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের মুখে পড়া বাংলাদেশি ধনকুবেররা যুক্তরাজ্যে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করছেন।

দ্য গার্ডিয়ান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ নিয়ে গার্ডিয়ান শনিবার (১৯ জুলাই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গার্ডিয়ান জানায়, গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকায় তদন্তাধীন কয়েকজন বাংলাদেশি ধনকুবের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি বিক্রি, হস্তান্তর বা পুনঃঅর্থায়ন করছেন। তাদের লেনদেনগুলোর কারণে যুক্তরাজ্যের আইনি সংস্থা (ল ফার্ম) ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের যাচাই-বাছাইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লন্ডনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া এবং লেনদেনগুলো সহজ করতে সাহায্য করেছে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ঢাকায় তদন্তাধীন ব্যক্তিদের মালিকানাধীন সম্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ‘লেনদেনের আবেদন’ জমা পড়েছে। এর মধ্যে চারটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তিনটি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান  এবং তিনটি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তি। 

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে। স্বৈরাচারী নেতা শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন্দলময় রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই বেদনাদায়ক পটভূমিতে লন্ডনের নাইটসব্রিজের একটি বিশাল বাড়ি সবার নজর কেড়েছে। বাংলাদেশের আগের সরকারের অধীনে থাকা ক্ষমতাশালী এবং রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত ব্যক্তিরা উচ্চ পদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় চুক্তি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা লুট করেছেন। তারা লাখ লাখ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের প্রপার্টি (সম্পত্তি) খাতে বিনিয়োগ করেছেন। মূলত এগুলো পাচার করা অর্থ। ঢাকার তদন্তকারীরা তাদের বিষয়ে তদন্ত করছেন। 

গত মে মাসে লন্ডনে সালমান এফ রহমান পরিবারের ৯ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। গত বছর গার্ডিয়ান যুক্তরাজ্যে এই পরিবারের সম্পত্তির পোর্টফোলিও প্রকাশ করেছিল। এর তিন সপ্তাহ পর এনসিএ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ১৭ কোটি পাউন্ডের বেশি মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে। তিনি ভূমিমন্ত্রী থাকাকালে বিশাল সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩০০টিরও বেশি (অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল টাউন হাউস পর্যন্ত) সম্পত্তি ছিল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আহ্বান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য যেন আরও বেশি সম্পত্তি জব্দ করে। লন্ডনের সম্পত্তি নিয়ে এই পরিস্থিতিকে কেউ বলছেন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, আবার কেউ বলছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ঢাকা থেকে ডরচেস্টার

লন্ডনের পাঁচতারকা হোটেল ডরচেস্টার। এর এক কক্ষের ভাড়া প্রতি রাতে ৮০০ পাউন্ডের বেশি। এই হোটেলকে ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত স্থান বলে নাও মনে হতে পারে। মেইফেয়ার এলাকার হোটেলের বিলাসবহুল কক্ষগুলো জুনের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে আসা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের অস্থায়ী বাসস্থান হয়ে উঠেছিল। এর নেতৃত্বে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করে। ঢাকার তদন্তকারীরা জানান, অর্থ পাচারের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ খুঁজে বের করার জন্য তারা যুক্তরাজ্যের কাছে সহায়তা চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন।

পাচার করা সম্পদ ফেরানো দলের নেতৃত্ব দেওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, তিনি সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সালমান এফ রহমানদের বিরুদ্ধে জারি করা উদ্যোগের মতো আরও পদক্ষেপ চান। গভর্নর বলেন, আমরা সম্পদ হস্তান্তর বা বিক্রয় চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক। আমরা যুক্তরাজ্যের সরকারকে আরও সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিতে অনুরোধ জানাই। এর মাধ্যমে সম্পদ ফেরাতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার ক্ষেত্রে আমরা উৎসাহ পাব।

দুদক চেয়ারম্যানও যুক্তরাজ্যের প্রতি একই আহ্বান জানিয়েছেন। গত মাসে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রপার্টি মার্কেটের কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এনসিএকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করার আবেদন বিবেচনা করতে বলেছেন।

জব্দ হবে, নাকি হবে না

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ঢাকায় তদন্তের মুখে পড়া ব্যক্তিদের সম্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ‘লেনদেনের আবেদন’ জমা পড়েছে। এ-সংক্রান্ত নথিগুলো সাধারণত বিক্রি, হস্তান্তর বা বন্ধক নির্দেশ করে।
এর মধ্যে তিনটি সম্পত্তির দাম দুই কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড। এগুলো বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন। এই পরিবারটি সিমেন্ট থেকে শুরু করে মিডিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত শতকোটি পাউন্ডের শক্তিশালী ব্যবসার মালিক।

নাইটসব্রিজের একটি চারতলা টাউন হাউস নিয়ে সম্প্রতি দুটি লেনদেন হয়েছে। এর উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এটি বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক একটি কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল। গার্ডিয়ান জানতে পেরেছে, বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের তদন্তের মুখে পড়া কয়েকটি পরিবারের সদস্যের মধ্যে সায়েম সোবহান একজন।

গত এপ্রিলে সম্পত্তিটি বিনামূল্যে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্রুকভিউ হাইটস লিমিটেডে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ব্রুকভিউর মালিক রিয়েল এস্টেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অরবিস লন্ডনের একজন পরিচালক। এদের লিচেনস্টাইন ও সিঙ্গাপুরে কার্যালয় রয়েছে। এর আগেও এরা সায়েম সোবহানের সম্পত্তি লেনদেনে কাজ করেছে।

লন্ডনের বাড়িটি পরে ৭৩ লাখ পাউন্ডের বেশিতে একটি নতুন কোম্পানির কাছে বেচা হয়েছে। এর একমাত্র পরিচালক একজন হিসাবরক্ষক। তাঁর কোনো অনলাইন প্রোফাইল নেই। এই হিসাবরক্ষক একাধিক কোম্পানির মালিক এবং পরিচালক হিসেবে নিবন্ধিত। কয়েক লাখ পাউন্ডের লন্ডনের সম্পত্তির দালাল বলে মনে হয়।

ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের নথি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের আইনি সংস্থাগুলো সায়েম সোবহান আনভীর পরিবারের আরেক সদস্য সাফিয়াত সোবহানের মালিকানাধীন সম্পত্তিগুলোর জন্য আরও দুটি লেনদেনের আবেদন করেছে। এর মধ্যে সারে এলাকার ভার্জিনিয়া ওয়াটারে অবস্থিত একটি ৮০ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাড়ি রয়েছে। এই পরিবারের একজন সদস্যের কাছে গার্ডিয়ান মন্তব্যের অনুরোধ জানালেও তিনি সাড়া দেননি। তবে এর আগে পরিবারটি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এবং অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে জানিয়েছিল।

সোবহান পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাজ্যের এমন কিছু সম্পত্তি মালিকদের মধ্যে রয়েছেন, যাদের সম্পদ এনসিএকে জব্দ করার বিষয়ে বিবেচনা করতে বলেছে দুদক।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে দুদকের জালে আরও দুজন ব্যক্তি এসেছেন। দুজনই গত এক বছরে একাধিক সম্পত্তির চুক্তি করেছেন। একজন হলেন তার ভাই আনিসুজ্জামান এবং অন্যজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এক প্রপার্টি ডেভেলপার। এই ব্যক্তির নাম গার্ডিয়ান প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন চারটি সম্পত্তি সম্প্রতি মার্কেটে সক্রিয় হয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পাশে ১ কোটি পাউন্ড মূল্যের একটি জর্জিয়ান টাউন হাউস বেচা হয়েছে। এর পর থেকে আরও তিনটি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো পুনঃঅর্থায়ন সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আনিসুজ্জামান চৌধুরীর আইনজীবীরা জানান, তাঁর কোনো সম্পদ জব্দ করার বৈধ কারণ থাকতে পারে না। রিজেন্টস পার্কের সম্পত্তি বিক্রির চুক্তি ২০২৩ সালে অভ্যুত্থানের আগে হয়েছিল।

সাইফুজ্জামান লন্ডনের সম্পত্তির ডেভেলপারকে ঋণ পেতে সাহায্য করেছিলেন কিনা, তা তদন্ত করতে এর আগে দুদককে অনুরোধ করেছিলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি বাংলাদেশের আদালত এই ডেভেলপারের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সালমান এফ রহমানের ছেলে এবং ভাতিজার মালিকানাধীন সম্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত আরও তিনটি লেনদেনের আবেদন রয়েছে। সালমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম গ্রুপ বেক্সিমকো পরিচালনা করতেন। আহমেদ শায়ান রহমান এবং আহমেদ শাহরিয়ার রহমান দুদকের তদন্তের মুখে রয়েছেন। মেইফেয়ারের গ্রসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত তিন কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টসহ তাদের কিছু সম্পত্তি গত মাসে এনসিএ জব্দ করেছে।

সালমান এফ রহমান পরিবারের আইনজীবীরা জানান, তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তারা যুক্তরাজ্যে যে কোনো তদন্তে সহযোগিতা করবেন।

দুর্নীতি ও কর পরীক্ষা করে এমন একটি সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্যের এমপি জো পাওয়েল বলেন, এ ধরনের তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া উচিত। ইতিহাস আমাদের বলে, তদন্ত চলাকালে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে সম্পদ দ্রুত বিলীন হয়ে যেতে পারে। তিনি এরই মধ্যে এনসিএর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এটিকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাল প্রসারিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। 

জো পাওয়েল এমপিদের একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা সন্দেহজনক লেনদেন এবং সেই সম্পদ স্থানান্তরে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের আবাসস্থল হিসেবে লন্ডনের খ্যাতিকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। বিশেষ করে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর অলিগার্কদের ওপর নতুন করে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

এনসিএর লক্ষ্যবস্তু হওয়া বা দুদকের নাম উল্লেখ করা ব্যক্তিদের জন্য কাজ করা একাধিক ল ফার্মের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। রহমানদের মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর আবেদন জমা দিয়েছে আইনি সংস্থা জাসওয়াল জনস্টন। এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, সংস্থাটি কোনো বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারা যাচাই-বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতাকে ‘অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে’ বিবেচনা করে।

রহমানদের তিন কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি এবং সোবহান পরিবারের একজন সদস্যের মালিকানাধীন আরও একটি ৮০ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাড়ি লেনদেনের জন্য আবেদন করেছিল আইনি সংস্থা মেরালি বিডল। তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের একজন মুখপাত্র বলেন, পেশাদার আইনি সংস্থাগুলোর তদন্তাধীন গ্রাহকদের বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাদের সম্পদের উৎস সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করা উচিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে অবিলম্বে পুলিশকে জানানো উচিত। দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া এই বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে, দুদক তাদের তদন্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে চায়নি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2