উত্তাল সাগর, কালো মেঘ আর ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হংকং

ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় উইফার তাণ্ডবে হংকং জুড়ে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ অস্থিরতা। রবিবার (২০ জুলাই) জারি করা হয় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত। হংকংয়ে ১০ নম্বর টাইফুন সতর্কতা সংকেত ঘোষণা করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি জায়গা হয়ে অতিক্রম করবে। এসময় হংকংয়ের দক্ষিণাংশে তীব্র বেগে বাতাস প্রবাহিত হবে।
ঝড়টি টাইফুন পর্যায়ে পৌঁছে মাকাও ও নিকটবর্তী চীনের ঝুহাই শহরের দিকে এগিয়ে চলেছে। পরে এটি এই সপ্তাহেই ভিয়েতনামে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। উইফা নামটি থাই ভাষার একটি শব্দ। পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলের টাইফুনের নামগুলো ওই অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশ থেকে নেওয়া হয়ে থাকে।
এদিকে হংকংয়ে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় ফেরিসহ অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। অঞ্চলটিতে কিছু হাই-স্পিড ট্রেন সেবাও স্থগিত করা হয়েছে।
উইফার আগমনের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও অঝোরে বৃষ্টিপাত। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে চলে যায়। দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রচণ্ড বাতাস এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতিল করা হয় ২০০টিরও বেশি ফ্লাইট। সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হংকং বিমানবন্দরে আগমন ও প্রস্থানকারী সকল ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ। তারা টিকিটের ফি মওকুফ করে যাত্রীদের নতুন তারিখে ফ্লাইট বুকিং করার সুযোগ করে দিয়েছে।
পাশাপাশি হংকংয়ে ডিজনিল্যান্ড এবং অন্যান্য বিনোদন পার্কও বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বর্ষার এই মৌসুমে ফিলিপাইনে বৃষ্টিপাতের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির ক্যাগায়ান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিতে বন্যার কারণে অন্তত একজন গ্রামবাসীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে শক্তিশালী ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজ করায় ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। এছাড়া, ৪০০টিরও বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, প্রায় ৪৩ হাজার ভুক্তভোগী বন্যা, ভূমিধস এবং তীব্র বাতাসের কারণে সরকার পরিচালিত জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: