৯০ দিন পর পৃথিবীতে ফিরলেন চীনের তিন নভোচারী

প্রায় তিন মাস মহাকাশে মিশন শেষ করে পৃথিবীতে ফিরেছেন চীনের তিন নভোচারী। দেশটি সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য এই তিনজনকে মহাকাশ মিশনে পাঠিয়েছিলো।

বিবিসি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এই সফল মহাকাশ অভিযান চীনের মহাকাশ কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে এবং মহাকাশ গবেষণার দৌড়ে চীন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় তাদের আস্থাও বেড়েছে।

মহাকাশ অভিযান যাওয়া তিন নভোচারী হলেন- নিই হাইশেং, লিউ বোমিং এবং টাং হনবো। এই তিন নভোচারী পৃথিবীর ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) উপরে চীনের তৈরি মহাকাশ স্টেশনে তিয়ানহে মডিউলে ৯০দিন অতিবাহিত করেন। তাঁরা বৃহস্পতিবার স্পেস স্টেশন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে শেনঝু-১২ নামের নভোচারী-চালিত মহাকাশযানে ওঠেন। আজ (শুক্রবার) স্থানীয় সময় দুপুর একটা ৩৫ মিনিটে মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করেন তাঁরা। গত ১৭ জুন গোবি মরুভূমি থেকেই তাদের বহনকারী নভোযানটি মহাকাশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলো।

চীনের গ্লোবাল টাইমসের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মহাকাশ স্টেশনে থাকাকালীন তিন নভোচারী বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম তথ্য পাঠানো এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে মহাকাশে হাঁটা।

মহাকাশ স্টেশনের মূল মডিউলের থাকার জন্য প্রত্যেক নভোচারীর আলাদা কক্ষ দেওয়া হয়েছিলো। চীনের এয়ারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস করপোরেশনকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, সেখানে মহাকাশে ব্যবহারের উপযুক্ত জিম ছিলো যেখানে নভোচারীদের ব্যায়ামের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা ট্রেডমিল এবং বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছিলও।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ গবেষণায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে চীন। ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চীন চাঁদের সবচেয়ে দূরের অংশে রোবট পরিচালিত রোভারযান পাঠিয়েছিলো।

চীনকে মহাকাশে তাঁদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করতে হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন প্রকল্পে চীনকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রকল্পে তাঁরা রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং কানাডার সংগে একযোগে কাজ করছে।