জাতিসংঘের অধিবেশনে কথা বলতে চায় তালেবান
তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে কথা বলতে চায় তালেবান। তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানান।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের ওই আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুরোধটি জাতিসংঘের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি বিবেচনা করছে। নয় সদস্যের ওই কমিটির অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান জাতিসংঘে কথা বলার জন্য এরই মধ্যে তাদের মুখপাত্র সুহাইল শাহীনকে মনোনীত করেছে। যিনি দোহায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায়ও তালেবানের একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত আশরাফ ঘানি সরকারের দূত এখন জাতিসংঘে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছে না। তারা আরও জানিয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশ এখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ঘানিকে আফগানিস্তানের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
তবে, আগামী সোমবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে সেখানে তালেবানের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, নিয়মানুযায়ী অধিবেশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জাতিসংঘে আফগানিস্তানের দূত হিসেবে গোলাম ইসাকজাই বহাল থাকবেন। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সভার শেষ দিনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৯৯৬ সালে শেষবার যখন তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিলো তখনো তারা জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে দিয়েছিলো।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে কাতার বিশ্বনেতাদের তালেবানের সংগে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, তালেবানকে বয়কট করলে শুধু রাজনীতিতে মেরুকরণ ও প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তারচেয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ফলপ্রসূ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কাতার আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের জন্য সহায়তাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২০ সালে দোহায় তালেবানের সংগে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনার আয়োজন করেছিলো তারা।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: