• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোদে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় শিশুর মৃত্যুঃ আইএস জঙ্গির স্ত্রীর সাজা

প্রকাশিত: ১৮:০১, ২৬ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
রোদে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় শিশুর মৃত্যুঃ আইএস জঙ্গির স্ত্রীর সাজা

প্রচণ্ড রোদের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পাঁচ বছরের এক শিশুকে মরতে দেওয়ার দায়ে ইসলামিক স্টেট আইএসের এক ইরাকি জঙ্গির স্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জার্মানির এক আদালত সোমবার (২৫ অক্টোবর) এই রায় দেন।

জার্মানির লোনে শহরের তরুণী ২৩ বছর বয়সি জেনিফার ডাব্লিউ. ইরাকে গিয়ে ওই আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। নতুন জার্মান স্ত্রীকে ঘরের কাজে সহায়তা করতে ওই আইএস জঙ্গি ২০১৪ সালে একজন ইয়াজিদি নারী ও তাঁর পাঁচ বছরের কন্যাশিশুকে অপহরণ করে দাস হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ২০১৫ সালের আগস্টের একদিন খুব ছোট অপরাধের শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের ওই শিশুকে কড়া রোদের মধ্যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিলো। ওই অবস্থায় সে মারা যায়।

জার্মানির ‘হায়ার রিজিওনাল কোর্ট অফ মিউনিখে’ আড়াই বছর ধরে বিচার চলার পর জেনিফার ডাব্লিউ.কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচার চলার সময় জেনিফার দাবি করেছিলেন, ওই ঘটনার সময় তিনি ক্ষমতাহীন ছিলেন। তাঁর পক্ষে স্বামীর বিরোধিতা করা সম্ভব ছিলো না।

তবে আদালত মনে করেছেন, ওই সময় জেনিফার হস্তক্ষেপ করতে পারতেন। তা না করে তিনি ঘটনা ঘটতে দেখেছেন। তাই তাঁকে ‘দাস হিসেবে ব্যবহার করে হত্যার’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। 

তাঁর বিরুদ্ধে আজীবন কারাদণ্ডের দাবি করেছিলেন আইনজীবীরা। তবে আদালত ১০ বছর কারাদণ্ডের শাস্তির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ওই হত্যার পেছনে মূল দায়ী ব্যক্তি হলেন জেনিফারের স্বামী।

আইএস-এর আমলে উত্তর ইরাকে বাস করা সংখ্যালঘু কয়েক হাজার ইয়াজিদি হত্যা ও অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে আইএস ইয়াজিদিদের ‘শয়তানের পূজারি’ হিসেবে বিবেচনা করতো।

জার্মানির আদালত বলেছেন, আইএস-এ যোগ দিয়ে জেনিফার ডাব্লিউ. ‘ইয়াজিদি ধর্মের ধ্বংস’ এবং ‘ইয়াজিদিদের দাস হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি’ সমর্থন করেছেন। এই রায়ে স্পষ্টভাবে ইয়াজিদিদের গণহত্যার বিষয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে- যা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

তাদের উপর নির্যাতন চালানো ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কয়েক বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলেন ইয়াজিদিরা। এই প্রথমবারের মতো ইয়াজিদি গণহত্যার সংগে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে আইএস-এর কাউকে অভিযুক্ত করা হলো।

সূত্র ও ছবি: ডয়েচে ভেলে

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: