• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি।

বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার পর হবু স্ত্রীকে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হবু স্বামীর বিরুদ্ধে। একইদিনে তিনবার ধর্ষণ এবং তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে মারধর করে গর্ভপাত করানো ও বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী তরুণী একজন উঠতি মডেল।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। নির্যাতিতা তরুণী এখন পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম অভিজিৎ সর্দার। সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ কলকাতার একটি নাইট ক্লাবের বার ম্যানেজার। তাঁর বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় বিয়ের নামে ধর্ষণ, মারধর ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা তরুণী। অভিজিতের পরিবারের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। মডেলিং করেই তিনি সংসার চালাতেন। দেড় বছর আগে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অভিজিতের সংগে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অভিজিৎ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে আগামী ২৯ নভেম্বর বিয়ের দিন স্থির করেন। এরপরই ঘটে বিপত্তি!

তরুণী অভিযোগ, গত ৩ অগাস্ট অভিজিৎ তার বাবা, মায়ের সংগে জরুরি আলোচনা করানোর কথা বলে তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলো না। ফাঁকা বাড়িতে অভিজিৎ তাঁকে তিনবার ধর্ষণ করে। কিছুদিন পর তরুণী অসুস্থ বোধ করলে অভিজিৎই তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর গত ১৭ অক্টোবর ফের পরিবারের সংগে কথা বলার জন্য অভিজিৎ তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন অভিজিৎসহ তার মা, ভাই, বোন এবং আয়কর আধিকারিক জামাইবাবু সুব্রত মিলে তাঁকে মারধর করে এবং গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেয়। ওই রাতে তরুণীকে আটকে রেখে তাঁর মাকে ভালো আছি বলে ফোনও করায়। পরদিন, ১৮ তারিখ বেসরকারি ডাক্তারখানায় নিয়ে ফের তরুণীর প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করানো হয় এবং ১৯ তারিখ জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ।

তরুণীর অভিযোগ, মাকে খুনের হুমকি দিয়ে গর্ভপাত করায়। এরপর ১১ তারিখ অভিজিৎ ফের তরুণীকে বাড়িতে ডেকে আনে এবং তার পরিবার 'নোংরা মেয়ে' তকমা দিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। পরিবারের সদস্যদের সুরে সুর মেলান অভিজিৎও।

বিভি/এমএস

মন্তব্য করুন: