• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা: কবে ঘুম ভাঙবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের?

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ৮ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৯:১৫, ৮ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা: কবে ঘুম ভাঙবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের?

ছবি: আল জাজিরা

আমিনা আশকিনান গাজার প্রবীণ বাসিন্দা। তার নাতি-নাতনিরা শনিবার (৬ আগস্ট) উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে তাদের বাড়ির সামনে খেলছিল। তখনই তাদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়।হামলায় তার ১০ বছর বয়সী নাতনী মায়ারের পেটে স্প্লিন্টার ঢোকে। আর  বছর বয়সী নাতি আহমেদের সারা শরীর হয় ক্ষত-বিক্ষত।

তাদের দুজনকেই গাজার শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই মায়ারকে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তার তার ভাইয়ের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও আশকিনানের শঙ্কা এখনও কাটেনি।

বেশ কয়েকদিন যাবত ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গাজা জুড়ে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ জেনারেটরের প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে চিকিৎসা বন্ধের সতর্কতা জারি করে আসছিলেন। ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে জ্বালানি পরিবহন বন্ধ করার কয়েকদিন পর গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শনিবার বন্ধ হয়ে যায়

৬৫ বছর বয়সী আশকিনান বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক অকল্পনীয়। আমরা যা সহ্য করছি তা কোন মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। আমাদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে অসহায় এখানকার বেসামরিক জনগণ। আমাদের কি দোষ, আর আমাদের সন্তানদেরই বা  কি দোষ?’

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দিনের ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় নিহত ৪৪ জনের মধ্যে অন্তত ১৫ শিশু রয়েছে। রবিবার ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে যা সোমবার সকাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ১৫ বছরের অবরোধে এখানকার স্বাস্থ্য খাত চরম বিপর্যয়ের মুখে, যা আগেই অনুমিত ছিলো। বিদ্যুতের সংকট এই সেক্টরের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষত, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট অক্সিজেন-উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থা ভয়ঙ্কর।

আবু সালমিয়া রবিবার আল জাজিরাকে জানান, ২৫ জনেরও বেশি আহতের জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন; গুরুতর অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা বিভাগে আহত শিশু, মহিলা এবং বয়স্করাও রয়েছেন।

আহমেদ আবু রামাদান নামে গাজা উপত্যকার আরেক অধিবাসী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আহতদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করা আমাদের এবং গাজা উপত্যকার সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড সমতুল্য। পরিস্থিতি অসহনীয় এবং আমরা কঠিন মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি।  আমরা জানতে চাই, বিশ্ব কবে গাজা উপত্যকার মানুষের বিরুদ্ধে অবিচারের অবসান ঘটাবে? সূত্র: আল জাজিরা

 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: