আশরাফ ঘানিকে প্রতারক বললেন মাইক পম্পেও

আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে ‘প্রতারক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, আশরাফ ঘানি শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন এবং শান্তি আলোচনার প্রধান বাধা ছিলেন। নিজের লেখা ‘নেভার গিভ এন ইঞ্চি’ বইয়ে আশরাফ ঘানিকে নিয়ে এসব মন্তব্য করেছেন পম্পেও। 

বইটিতে পম্পেও দাবি করেছেন, ঘানি এবং আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের দুর্নীতির কারণে ২০২১ সালে মার্কিন সেনাদের তাড়াহুড়া করে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছিলো। ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে কাবুলে দীর্ঘ ২০ বছর পর মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান হয়।

মাইক পম্পেও তার বইয়ে লিখেছেন, ‘যখনই আলোচনা এগুচ্ছিলো, তখনই ঘানি সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। আমি অনেক বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছি, আর সে ছিলো আমার সবচেয়ে কম প্রিয় নেতা। এটার মানে কিন্তু অনেক…যখন আপনার সামনে আছেন কিম জং উন, শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিন। ঘানি ছিলেন আপাদমস্তক একজন প্রতারক। তিনি অনেক আমেরিকানের জীবন নষ্ট করেছেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিলো ক্ষমতায় থাকা।’

পম্পেও আরও বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কারণে আশরাফ ঘানি পুনরায় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যেসব সহায়তা পাঠাতো সেগুলো থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন আশরাফ ঘানি ও তার সহযোগীরা।

পম্পেও আরও জানান, ঘানির প্রতি মার্কিন কর্মকর্তারা বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি ২০২০ সালে একবার তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ঘানিকে বলেছিলেন, তারা সহায়তা বন্ধ করে দেবেন এবং সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার পরই তালেবান যোদ্ধারা চারদিক থেকে রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলতে শুরু করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে সব বিদেশি সেনা আফগানিস্তান ছাড়া শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিও পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি আরব আমিরাতে আছেন। পরবর্তিতে ঘানি দাবি করেন, আফগানিস্তানে আরও রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়েছেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি