'শিশুবক্তা' রফিকুলের ফোনে 'পর্নো ভিডিও'

আলোচিত বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নানান তথ্য। র্যাব জানিয়েছে, তাঁর মোবাইল ফোনে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও মিলেছে। এছাড়া তাঁর বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাওলানা রফিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না: র্যাব
এর আগে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোনার পূর্বধলার লেডির কান্দার নিজ বাড়ি থেকে ২৬ বছর বয়সী মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব-১৪-এর একটি অভিযানিক দল। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রফিকুলের মুক্তি চান মামুনুল
র্যাবের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বাংলাভিশন ডিজিটালকে জানিয়েছে, রফিকুল ইসলামকে আটকের পর তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। তাতে বিপুল পরিমাণ পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালে আসমা বেগম নামের এক নারীকে তিনি বিয়ে করলেও এতদিন বিষয়টি গোপন রেখেছেন বলেও তথ্য পেয়েছে র্যাব। যাকে বিয়ে করেছেন তিনি রফিকুল ইসলামের ভাবির চাচাতো বোন বলেও জানা গেছে।
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রাতে বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, রফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিজিটাল আইনে মামলা হবে। তবে তাঁর কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে কী কী তথ্য পাওয়া গেছে তা পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। এ মুহূর্তে জানানো যাচ্ছে না।
রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পরে তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও নূরানি, হেফজ পড়েন। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েন। তাঁর নামের শেষে 'মাদানী' শব্দ যুক্ত করা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পড়াশোনা করেন, তাঁদের নামের সঙ্গে 'মাদানী' যুক্ত করা হয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেই নিজের নামের সঙ্গে 'মাদানী' শব্দ যুক্ত করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে 'মাদানী' শব্দ প্রত্যাহার করতে রফিকুলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। তাঁর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: যে কারণে আটক হলেন 'শিশুবক্তা' রফিকুল
বিভি/এমএস