১০ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর

অবশেষে মুক্তি পেলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। একই মামলায় কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর প্রবল নিন্দা আর বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় কার্টুনিস্ট কিশোরর মুক্তির বিষয়টি গতিশীল হয়।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা সোয়া ১২টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে টানা প্রায় ১০ মাসের কারাবন্দিত্বের অবসান হলো তাঁর। সাদা রঙের একটি গাড়িতে চড়ে কারাগার এলাকা ছাড়ার সময় কারও সঙ্গে কথা বলেননি কিশোর।
কিশোরকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপার আবদুল জলিল। তিনি জানান, আহমেদ কবির কিশোরের জামিনের কাগজ বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে কিশোরকে মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবার শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কিশোরের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ মে রমনা থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করে র্যাব-৩। কাটুর্নিষ্ট কিশোর, মুশতাক ও রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুলকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এই মামলায় সাক্ষী করা হয় বাসা, মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষী, পিয়নসহ ছয়জনকে।
বিভি/এমএইচকে