• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দাম্পত্য জীবন মসৃণ রাখতে যে বিষয়গুলোতে নজরদারি জরুরি

প্রকাশিত: ১৬:০২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:১৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
দাম্পত্য জীবন মসৃণ রাখতে যে বিষয়গুলোতে নজরদারি জরুরি

প্রেমের বা দাম্পত্য সম্পর্কের শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও নাকি কিছুদিন পর শুরু হয় অশান্তি। তাই বলে সবার ক্ষেত্রেই যে এমনটা হয়, তা নয়। নিজেরদের মধ্যে বোঝাপড়া, সহযোগিতা, সততা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই জেনে নিন কোন বিষয়গুলো সর্বদা নজরে রাখবেন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা: অনেক সময় দেখা যায় সঙ্গীর সঙ্গে দরকারি বিষয় নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়া হয়। অনেকেই এ ধরনের আলোচনাকে ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যান। কিন্তু এ ধরনের খোলামেলা আলোচনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বিষয়ে দুজনের দুই রকম মনোভাব থাকতে পারে এটিই স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন কারো সঙ্গে থাকতে গেলে এরকম নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই যদি সম্পর্কের শুরুতেই এরকম বিষয় নিয়ে খোলাখুলি  আলোচনা করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে না।

মনোমালিন্য স্বাভাবিক: যেকোনো সম্পর্কে মনোমালিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সঙ্গীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একে অপরের ভালো লাগা, খারাপ লাগা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না।

অতীতের ঝগড়া বা দোষ: দীর্ঘদিনের সম্পর্কে সঙ্গীর ভালো দিকগুলোর কথা ভুলে যায় অনেকেই। সম্পর্কের শুরুর দিকে সঙ্গীর ভালো কাজে প্রশংসার মাত্রা বেশি থাকে। পরে ধীরে ধীরে সেটি কমে যায়। প্রতিদিনের কথোপকথনের অধিকাংশ জুড়ে যদি থাকে অন্যের দোষ বা আগের কোনো ঝগড়া, তাহলে প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হবে ও দূরত্ব বাড়তে থাকবে। সঙ্গীর ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন ও ইতিবাচকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।

কাছের মানুষজনকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য নয়: প্রত্যেকের জীবনে কিছু মানুষ থাকেন যারা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী হিসেবে আমাদের উচিত অপরজনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের শ্রদ্ধা করা। সঙ্গীর কাছে অযথা তাদের নিয়ে সমালোচনা আপনাদের সম্পর্ক খারাপ করে দিতে পারে। তাই সঙ্গীকে শ্রদ্ধার পাশাপাশি তার বন্ধু, সহকর্মী এবং পরিবারের মানুষদের শ্রদ্ধা করুন।

ভুলেও গোপন করা নিষেধ: একটি সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যোগাযোগ। সঙ্গীর সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ না করলে অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়, যা থেকে বড় আকারের ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন আরেকজনের কাছ থেকে সবকিছুই গোপন করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব গোপনীয়তা প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনার কোনো কিছু গোপন করায় আপনার সঙ্গী মনে আঘাত পান বা ইচ্ছাকৃতভাবেই আপনি সবকিছু গোপন করেন তাহলে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে।

বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নয়: অনেক সময় দেখা যায় একটি বিষয় নিয়ে বারবার ঝগড়া হতে থাকে। প্রত্যেকবার সমাধান করা হলেও ঘুরেফিরে বারবার সেই একই সমস্যা হতে থাকে। এটির মূল কারণ হলো সঠিকভাবে সমাধান না করা ও নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন না আনা। কোনো সমস্যার গভীরে গিয়ে সেই সমস্যার কারণ ও সমাধান সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে। বারবার যেন সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বারবার এরকম হতে থাকলে এক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।

শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিকল্প নেই: প্রতিটি সম্পর্কে শ্রদ্ধা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক নয়, প্রতিটি সম্পর্কেই উভয় দিক থেকে শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন। শ্রদ্ধা প্রকাশের নানা মাধ্যম রয়েছে। আপনার সঙ্গীর মতামতকে মর্যাদা দেওয়া, তাকে কোনো কাজে সহযোগিতা করা, প্রশংসা করা এগুলোর মাধ্যমে সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। আমাদের সমাজে প্রায়ই দেখা যায় যে অনেক পুরুষ নিজেরাই সংসারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অথবা আরেকজনের অবদানকে স্বীকৃতি দেন না। এ ধরনের মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সঙ্গীর প্রতি এরকম আচরণ সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলতে পারে।

দোষারোপ করা নিষেধ: অনেকের মধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার না করে অন্যকে দোষারোপ করার একটি প্রবণতা দেখা যায়। একটি সম্পর্কে যদি যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একে অন্যকে দোষ দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাহলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বের করতে হবে কী কারণে সমস্যাটি হলো।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: