শীতে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
ছবি: পিন্টারেস্ট
গ্রীষ্মপ্রধান বাংলাদেশে যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা প্রায় সারাবছরই বিপাকে থাকেন। শীতকাল আসলে তারা হয়তো ভাবতে পারেন যে ত্বকের আলাদা করে যত্ন নেয়ার দরকার নেই। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। শীতকালের শীতল ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একটু যত্ন নিলেই এড়ানো যেতে পারে এই সমস্যা।
প্রতিটি মানুষের ত্বকের ধরণ আলাদা। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাই একেক জনের ত্বকের একেক ভাবে যত্নের প্রয়োজন হয়। ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী যত্ন নিলে সহজেই ত্বককে রাখা যাবে ভালো।
শীতকালে সবার ত্বক শুষ্ক হয় এই ধারণা আমাদের থাকতে পারে। বাস্তবতা তা নয়। তৈলাক্ত ত্বক শীতকালেও তেলতেলে থাকতে পারে। এর মানে এই নয় যে এই ধরণের ত্বকের আলাদা করে যত্ন নিতে হবে না। শীতকালে তৈলাক্ত ত্বকেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্ন।
কয়েকটি স্টেপ মাথায় রাখলে পাওয়া যাবে সুফল
১। ক্লিনজার: ত্বকের পরিচর্চায় ক্লিনজিং প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ। ত্বক ভাল মত পরিষ্কার না হলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় তাই বেছে নিতে হবে কোমল ক্লিনজার যেন ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অক্ষুণ্ণ থাকে।
২। টোনার: টোনার ত্বকের আদ্রতা রক্ষার পাশাপাশি পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ক্লিনজিং এর পর ত্বকে মেকআপ বা ধুলা-ময়লা থেকে গেলে টোনার তা বের করতে সহায়তা করে। টোনার পরবর্তী উপাদান ত্বকে শোষণে সাহায্য করে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্লাইকলিক এসিড, স্যালিসিলিক এসিড সমৃদ্ধ টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। সিরাম: ত্বকের যত্নে সিরাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্রণ, বয়সের ছাপ, শুষ্ক ত্বক ইত্যাদি সমস্যায় সিরাম খুব ভাল কাজ করে। সতর্কতার সাথে সিরাম ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৪। ময়েশ্চারাইজার: অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শীতে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই। তবে এই ধারণা ভুল। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেট করার পাশাপাশি আদ্রতা ধরে রাখে। ত্বকের ধরণের ওপর নির্ভর করে ময়েশ্চারাইজার বাছাই করতে হবে।
৫। সানস্ক্রিন: শীতকালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সানস্ক্রিন। দিনের বেলায় বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: