• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আয়-ব্যয়ের সমতা রাখতে জানুন কিছু কৌশল

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৪:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
আয়-ব্যয়ের সমতা রাখতে জানুন কিছু কৌশল

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বাড়তি বিলে নাজেহাল মানুষের জীবন। 

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ভাড়াসহ সবকিছুর দাম আরেক দফা বেড়েছে। কিন্তু খরচ বাড়লেও অধিকাংশ মানুষের বাড়েনি উপার্জন।

সীমিত আয়ে পরিবার চালাতে অনেকেই পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। বেশি বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ।

তিন বেলা খেয়ে জীবনধারণ করার পাশাপাশি মানুষের জীবনে আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক সময় সাময়িকভাবে কিছু বিষয় কাটছাট করতে হয়। খাবারের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে মধ্যম আয় ও নিম্ন আয়ের মানুষ। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য কীভাবে বজায় রাখা যায় সেটিই এখন মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আয়-ব্যয়ের সমন্বয় কীভাবে করবেন তার ৭টি কৌশল রইলো আজ আপনাদের জন্য- 

বাজারের তালিকা দেখুন
আপনার বাজারের তালিকার দিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। আর গত কয়েকমাস মাসের বাজারের তালিকার সঙ্গে তুলনা করুন। এমন কোনো খরচ কি করেছেন যেটি না করলেও চলতো?

যদি সে রকম কিছু থাকে তাহলে আপাতত তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন। হয়তো দেখা যাবে সেখানে আপনার কিছু টাকা সাশ্রয় হতে পারে।

রেস্টুরেন্টে খাবার আগে ভাবুন
শহরাঞ্চলে অনেকে মাঝে মধ্যে হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে পছন্দ করেন। মানুষের জীবনের বৈচিত্র্যের জন্য অনেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

কেউ কেউ পরিবার নিয়ে প্রতিমাসে তিন থেকে চারবার রেস্টুরেন্টে খেয়ে থাকেন। এতে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু আপনি যদি মাসে একবারের বেশি না যান, এতে আপনার কিছুটা সাশ্রয় হবে।

আড্ডায় খরচ কমান
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে হাটে-বাজারে কিংবা বাড়ির কাছে চায়ের দোকানে বা হোটেলে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান অনেকে। এখানে শুধু আড্ডাই হয় না। সাথে কিছু চা-নাশতাও খাওয়া হয়। কেউ কেউ দিনে কয়েক কাপ চা বাজারে কিংবা দোকানে গিয়ে খেয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে টুকিটাকি নাশতাও করেন। এখন সে অভ্যাস কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। 

যাতায়াত ভাড়া কমান
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে যাতায়াত ভাড়ার ওপর। পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন চালিত ভাড়া তো বেড়েছেই সেই সঙ্গে রিকশা ও ইজিবাইকের ভাড়াও বেড়ে গেছে। 

যাতায়াত ভাড়া বাবদ প্রতিটি পরিবারেই একটি বড় অংকের টাকা খরচ হয় প্রতিমাসে। যাতায়াতের বাহন হিসেবে বাই সাইকেল বেছে নিলে যাতায়াত ভাড়া বাবদ বড় অংকের টাকা সাশ্রয় হতে পারে।

যদিও বাইসাইকেল কিনতে হলে এককালীন কিছু টাকা খরচ করতে হবে, কিন্তু এটি দীর্ঘ মেয়াদে যাতায়াত ভাড়া সাশ্রয়ের সুযোগ করে দিতে পারে। এ ছাড়া বাইসাইকেল চালানোর স্বাস্থ্যগত উপযোগিতাও আছে। 

যাদের পক্ষে বাইসাইকেল কেনা সম্ভব নয়, তারা কিছু রাস্তা হেঁটে গিয়ে যানবাহনে উঠতে পারেন। আর কাছাকাছি দূরত্বে গন্তব্য হলে পুরো রাস্তাই হেঁটে যেতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যেরও উপকার হবে। 

সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করুন
বিয়ে, জন্মদিন কিংবা নানা উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু ও পরিচিত জনদের নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অনেকেই পছন্দ করেন। যারা সীমিত আয়ের লোকজন তাদের ক্ষেত্রে এটি বাড়তি আর্থিক চাপ বটে। মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে এসব অনুষ্ঠান সীমিত করলে কিছুটা সাশ্রয় হতে পারে। এসব অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যে টাকা জমানো হয়েছে সেগুলো অন্য খাতে খরচ করা যেতে পারে। তা ছাড়া অন্যের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ কিছুটা কমিয়ে আনলে খরচ বেঁচে যাবে।

ঘুরে বেড়ানোতে সাশ্রয় করুন
আজকাল দেশের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে অনেকেই পছন্দ করেন। ঘুরতে দেশের বাইরেও চলে যাচ্ছেন পরিবার নিয়ে। জীবনে বৈচিত্র্যের জন্য এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন অনেকে। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা শহরের বাসিন্দারাও ঘুরে বেড়াতে চান।

অনেকে হয়তো ঘন ঘন ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে ভ্রমণের চাহিদা কিছুটা কমিয়ে আনলে অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব।

বিল সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও মোবাইল ফোনের বিল বাবদ একটি বড় অংকের টাকা খরচ হয় শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ পরিবারে। গ্রামাঞ্চলে পানির বিল না থাকলেও অন্যান্য বিল গুণতে হয়। প্রতিটি বিল থেকে কতটা সাশ্রয় করা যায় সেটা ভেবে দেখতে পারেন।

পরিমিত ব্যয় করুন চিন্তামুক্ত থাকুন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: