• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

অজ্ঞান পার্টির ১৪ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ৭ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
অজ্ঞান পার্টির ১৪ জন গ্রেফতার

রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বুধবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাতে রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মুঠোফান, দুটি এন্টিকাটার, চারটি ব্লেড ও ১২টি বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, হারুন সরদার (৫৫), মো. বাহারাম (৪৮), সুমন হোসেন (৪৫), মো. মানিক (২৮), সুজন (২৮), মো. রাসেল (২৫), মনির হোসেন (২৪),  মো. ওমর ফারুক (২৪), শরিফুল ইসলাম (২২), এনামুল হক (২২), আশরাফুল ইসলাম (২২),  মো. হৃদয় (২০), মো. সোহাগ (২০) ও সুজন মিয়া (২০)।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাাদে জানিয়েছে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় অজ্ঞান ঘোরাঘুরি করে। তারা সহজ–সরল যাত্রীদের লক্ষ্য করে কখনও তাদের ডাব, কোমল পানীয় কিংবা পানির সঙ্গে বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আবার কখনও যাত্রীবেশে বাস ও ট্রেনে চড়ে যাত্রীদের পাশে বসে তাদের নাকের কাছে চেতনানাশক ওষুধে ভেজানো রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে। এসব বিষাক্ত পানীয় সেবন বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পরে ঘটনাস্থলে যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় অজ্ঞান পার্টির যাত্রীর সব কেড়ে নেয়। মলম পার্টির সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিনতাইকারীরা কখনো ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুঁড়া বা বিষাক্ত পদার্থ স্প্রে করে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। অজ্ঞান পার্টির শিকার ব্যক্তি শারীরিক দুর্বল ও বয়স্ক হলে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ভুক্তভোগীর চোখেমুখে বিষাক্ত মলম লাগানোর ফলে তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারানোর সম্ভাবনা থেকে যায়।

র‌্যাব জানায়, খিলগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালভার্ট রোড, নাসিরের টেক, হাতিরঝিল, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীরা বেশি তৎপর থাকে।

র‍্যাব–৩–এর পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, ‘ভুক্তভোগীরা অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় কিছুদিনের মাথায় তারা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে পুরোনো পেশায় যুক্ত হন।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: