• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর যা পরামর্শ

ইসির সংলাপ

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৪ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২৩:০৬, ২৪ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর যা পরামর্শ

ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ দিন তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (২৪ জুলাই) চারটি দলের সঙ্গে সংলাপ করার কথা থাকলেও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি। 

ইভিএম, ৩৩% ও সংরক্ষিত নারী এমটি  চায় না বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন:

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার, দলগুলো সকল কমিটিতে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য চায় না বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। 

ইসির কাছে দলটির লিখিত প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে:- নির্বাচন কমিশনকে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকতে হবে; মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বদলি করা, বরখাস্তনকরা ইত্যাদি এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে; নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসী ক্ষমতা প্রদান করে মোতায়েন করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবল বৃদ্ধি করে প্রত্যেকটি নির্বাচনী আসনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের থেকে দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করার ব্যবস্থা নিতে হবে; প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যে আইনি ক্ষমতা রয়েছে, নতজানু না হয়ে তা কার্যকর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে; আসন সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যা অনুপাতে ভৌগলিক দূরত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে; যেহেতু সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে অতএব সিলেকশনের মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংসদে পৃথক আসন সংরক্ষণ করার যৌক্তিকতা নেই। আসন সংরক্ষণের এই ব্যবস্থাটি বৈষম্যমূলক বিধায় তা বিলুপ্ত করা হোক; জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না;  নির্বিঘ্নে ও সহজে যাতে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত ১০,০০০/= (দশ হাজার) টাকার মধ্যে রাখতে হবে। ভোটার তালিকা সম্বলিত সিডি প্রার্থীকে বিনামূল্যে প্রদান করতে হবে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট প্রকাশ না করে ফের নির্বাচনের বিধান করতে হবে; ঋণখেলাপিদের মতো ইসলামবিদ্বেষী, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ, খুনী, সন্ত্রাসী, কালোটাকার মালিক, অবৈধ সম্পদকে বৈধকারী ও ঋণখেলাপীদের সাথে জড়িত পরিবারবর্গকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে; দল থেকে বহিস্কার হলে যেমনিভাবে সংসদীয় পদ বাতিল হয়ে যায়, তেমনিভাবে নির্বাচিত সদস্যদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ভঙ্গ, দলীয় মেনিফেস্টোর লঙ্ঘণ, স্বৈরাচারনীতি, খুনী-সন্ত্রাসী ও ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেলে কমিশন কর্তৃক তার সদস্যপদ বাতিল করার বিধানও করতে হবে; অবাধ ও মুক্ত রাজনীতি চর্চার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্তাবলী শিথিল করতে হবে; রাজনৈতিক দলের সকল কমিটিতে ৩৩% মহিলা সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত ধারাটি বাতিল করতে হবে; কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না; দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং যোগ্য ও আদর্শবান লোকদের নির্বাচিত করতে নির্বাচনী ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। কারণ কষ্ট করে বৈধপন্থায় উপার্জিত টাকা জনগণের সেবার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে ব্যয় করা অনেক কঠিন বিষয়; নির্বাচনী ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একই আসনে সব প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর নাম ও প্রতীক সংবলিত একই পোষ্টার ছাপানো এবং তা প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে; ব্যয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রার্থীতা বাতিল এমনকি নির্বাচিত হলেও তার সদস্যপদ বাতিলের আইন করতে হবে; না ভোটের বিধান পূণরায় চালু করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষা করা। নির্বাচনকে অর্থ ও পেশীশক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তথা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া নির্বাচনে ভোট ক্রয়-বিক্রয় এবং কালোটাকা ও পেশীশক্তির ব্যবহার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে সেনাবাহিনীসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা; ভোটকেন্দ্র ও এর আশেপাশে দলীয় ক্যাডারদের মহড়া/যৌথ মহড়া বন্ধ করার আইন প্রণয়ন; দেশী-বিদেশী নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনরুপ বাধা সৃষ্টি না করা;  প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগের সুব্যবস্থা রাখা; নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন প্রভৃতি সুপারিশ করা হয়।


যথাসময়ে নির্বাচন চায় জাসদ: 
সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারসমূহের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রস্তুত থাকা; নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়সহ কোনো রাজনৈতিক বিতর্কেই নির্বাচন কমিশনের জড়িত হওয়া বা মতামত, বক্তব্য, মন্তব্য প্রদান করা উচিৎ নয়। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক বিরোধে সালিশি সংস্থা নয়। 

নির্বাচন নিয়ে অসাংবিধানিক ও আইন বহির্ভূত দাবিকে প্রশ্রয় না দেয়া প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, নির্বাচন নিয়ে সংবিধান ও আইন বহির্ভূত কোনো অসাংবিধানিক ও আইনসম্মত নয় এমন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য বা প্রস্তাবকে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্রয় দেয়া উচিৎ নয়।
 
নির্বাচন নিয়ে বিদেশী কূটনৈতিকদের অযাচিত নাক গলানো প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, কতিপয় বিদেশী কূটনৈতিক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী এবং অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থী অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেয়া।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে কোনো সাংবিধানিক, আইনগত ও প্রশাসনিক ঘাটতি বা দূর্বলতা থাকলে তা দূর করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন বা চাহিদা থাকলে নির্বাচন কমিশনের উচিৎ তা সুনির্দিষ্টভাবে আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের কাছে উত্থাপন করা। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিও এমন প্রয়োজনবোধ করলে তা আইনসভায় অর্থাৎ জাতীয় সংসদের নিকট সুনিদিষ্টভাবে উত্থাপন করতে পারেন। 

ইভিএম পদ্ধতি প্রসঙ্গে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএম পদ্ধতি সংযোজনকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে স্বাগত জানায়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণে বাস্তবে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। কিছু প্রশ্ন ও বিতর্কও তৈরি হয়েছে। জাসদ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে চিহ্নিত সমস্যাসমূহ সমাধান করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ইভিএম পদ্ধতিতে কারিগরীভাবে ত্রুটিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য কাজ করার পাশাপাশি ব্যালট পদ্ধতিতেও ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। 

ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, বর্তমানে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি, সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধনের সমগ্র প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ। জাসদ এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে। জাসদ একইসাথে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও সংশোধনের জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়াটিকে সহজ এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছে। জাসদ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র একই তথ্যপঞ্জিতে সমন্বিত করা এবং হালনাগাদকৃত তথ্য সবসময় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রাখার দাবি জানাচ্ছে। জাসদ প্রবাসী ভোটারদের ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। 

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গণপ্রতিনিধত্ব আদেশের কঠোর প্রয়োগ করে ধর্মভিত্তিক ও ধর্মীয় পরিচয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল এবং এ ধরনের দলকে নিবন্ধন প্রদান না করার দাবি জানাচ্ছে। জাসদ গণপ্রতিনিধত্ব আদেশ অনুযায়ী কঠোর প্রয়োগ করে একই নাম বা কাছাকাছি নামে কোন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেয়ার দাবি জানাচ্ছে। 

নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে। 

নির্বাচনী ব্যয়সীমা ও অবৈধ অর্থের ব্যবহার প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নির্বাচনী ব্যয়সীমা যৌক্তিকীকরণ এবং আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অবৈধ অর্থের ব্যবহার বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে। 

নির্বাচনকালে নির্বাহী বিভাগের ভূমিকা প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো নির্বাহী বিভাগকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন ও অসদাচারণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

নির্বাচনকালে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ মনে করে, নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচনকালে জনপ্রশাসনের কাজে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেটদের অধীনে ব্যবহার করতে পারবে। 


একাধিক দিনে সংসদ নির্বাচন চায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একযোগে একদিনে সারাদেশে সম্পন্ন না করে তিনদিনে ভাগ ভাগ করে সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ।

দলটির সুপারিশগুলো হলো- সংবিধান মোতাবেক একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, স্বয়ংসম্পূর্ণ, শক্তিশালী ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা; নির্বাচন এর সার্বিক কর্মকান্ডকে সরকারের সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত ও নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত রাখা; কমিশনের কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজন মোতাবেক সামরিক, আধা সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকা; নির্বাচন কমিশনের সকল পরামর্শ-নির্দেশ রেডিও-টেলিভিশনসহ সকল সম্প্রচার মিডিয়া ও কর্তৃপক্ষ যথার্থ প্রচারে বাধ্য থাকা; এতদসংক্রান্ত আইনের একটি চুড়ান্ত খসড়া প্রনয়ন করতঃ অধ্যাদেশ আকারে জারি করে এটা বলবৎ এবং পরে তা সংসদে অনুমোদন করা; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেয়া। এক্ষেত্রে কমিশনের নিজস্ব লোকবলকে নিয়োজিত করা; নির্বাচনে অবাধ কালো টাকার ব্যবহার রোধ ও ভোটকেন্দ্রে পেশীশক্তি প্রদর্শনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা; সারাদেশে একইদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন না করে ৩ দফায় আয়োজন করা; এবং ইভিএম এর যান্ত্রিক ত্রুটি রোধ ও সর্বপ্রকার জটিলতা নিরসনসহ এতদসংক্রান্ত ভোটারদের প্রশিক্ষিত করে তোলে ভোট কারচুপি ও জালিয়াতি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। তাহলেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনপ্রকার দ্বিধা-সংশয়ের অবকাশ থাকবে না। 

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: