• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সংসদ বিলুপ্ত চায় মুসলিগ লীগ, সংবিধানের আলোকে ভোটের দাবি ওয়ার্কার্স পার্টি’র

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৫ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২০:৩৩, ২৫ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
সংসদ বিলুপ্ত চায় মুসলিগ লীগ, সংবিধানের আলোকে ভোটের দাবি ওয়ার্কার্স পার্টি’র

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কমপক্ষে তিনমাস আগে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে সরকার কাছে প্রস্তাব দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। অপর দিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। 
সোমবার (২৫ জুলাই) ইসির ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে  দল দু’টি বিপরীতমুখী দাবি জানায়। 

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ইসিতে ১৯ দফা প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে:- 

মুসলিমের লীগের আইনি কাঠামো বিষয়ক সুপারিশ: 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে কোনোভাবে সম্পৃক্ত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্বে রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে কর্ম জীবনে প্রবেশের পূর্বে ও ছাত্র জীবনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাও বিবেচনায় আনতে হবে; রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে জেলা জজের সমমর্যাদা সম্পন্ন যে কোন বিশেষ জজকে প্রদান করা; তফসিল থেকে শুরু করে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত জনপ্রশাসন, তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে; নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত করার স্বার্থে, নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করতে ইসির পক্ষ থেকে সরকারের নিকট আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব রাখার অনুরোধ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না, -একথা জনগণের বড় একটি অংশ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে। অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, বিগত এগারটি সংসদ নির্বাচনে, সংসদে একাধিকবার প্রতিনিধিত্বকারী সক্রিয় এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রতিনিধি নিয়ে, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট দেয়ার সুপারিশ; ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে হবে; কাস্টিং ভোট একান্ন শতাংশের( ৫১%) কম হলে গণতন্ত্রের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট আসনে পুনঃনির্বাচনের প্রস্তাব করছি।

নির্বাচন প্রক্রিয়া বিষয়ক সুপারিশ:

নির্বাচনে প্রার্থীদের বিপুল অর্থ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। প্রার্থীর আয় ব্যয়ের হিসাব তদন্ত করার কার্যকরী পদ্ধতি ও দল কর্তৃক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারীর আওতায় আনার প্রস্তাব করছি; প্রার্থী পরিচিতির জন্য প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এজন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সকল প্রার্থীর নাম, প্রতীক, দল, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ইত্যাদি সম্বলিত যৌথ পোষ্টার, ব্যানারের মত প্রচার সামগ্রী নির্দিষ্ট পরিমাণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ছাপানো ও সমহারে প্রার্থীদের নিকট বণ্টন করতে হবে। প্রার্থীরা নিজ দায়িত্বে, নির্বাচনী বিধি মোতাবেক তা লাগানো বা বিলির ব্যবস্থা করবেন। নির্বাচন কমিশনের সরবরাহকৃত সামগ্রীর বাইরে প্রার্থীর নিজস্ব কোন প্রচার সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না; প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসার/নির্বাচন/উপজেলা কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনায় কমপক্ষে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনী জনসভা আয়োজনের করতে পারে। যেখানে আচরণ বিধি মেনে প্রত্যেক প্রার্থীর বক্তব্য রাখার সমান সুযোগ থাকবে। অনুমতি সাপেক্ষে একটি মাত্র একক জনসভা করার অনুমোদন থাকবে; বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রের জন্য এবসেন্টিং ব্যালট, মেইলিং পোলিং, এডভান্স পোলিং, অনলাইন পোলিং সিস্টেম ইত্যাদি আধুনিক নির্বাচনী পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রবাসী ও নির্বাচনী এলাকায় অনুপস্থিত থাকা ভোটারদের, বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হবে।

ইভিএম ব্যবহার করে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জাতি প্রস্তুত নয়। তাছাড়া পদ্ধতিটি সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও বিতর্কিত ও এখন পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। তাই বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ইভিএম ব্যবহার সমর্থন করে না; প্রবাসে অবস্থানরত আনুমানিক সাত শতাংশ (৭%) জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত থাকায় নির্বাচন পদ্ধতি কোনভাবেই শতভাগ অংশগ্রহণমূলক থাকছে না। প্রবাসীদের নাম দ্রুততম সময়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা নিতে ও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ; ভোট দেয়ার সুবিধার্থে ভোটারের ক্রমিক নম্বর, ভোট কেন্দ্রের নাম, বুথ নাম্বার ইত্যাদি তথ্য ভোটারদের সহজে জেনে নেয়ার জন্য এন্ড্রয়েড ও ওয়েব বেসড এপ্লিকেশন তৈরির বিষয়টি চিন্তা করা যেতে পারে; ভোটার তালিকা পিডিএফ (সফট কপি) ও ছাপানো (হার্ড কপি) উভয় প্রকরণে বিনামূল্যে প্রার্থীদের সরবরাহ করার প্রস্তাব করছি; প্রতিটি ভোট কেন্দ্র, ভোট গণনা কক্ষ ও ফলাফল ঘোষণা কক্ষ সি. সি/ আই.পি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করছি। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সি.সি/ আই.পি ক্যামেরা মনিটরিং সেলের সাথে প্রোজেক্টর সংযুক্ত করে উন্মুক্ত স্থানে, সর্বসাধারণকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করছি। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া এখন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই একটি সাজানো নাটক। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক পদ্ধতি বাতিল করার এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সর্বনাশা সংস্কৃতি রুখে দিতে 'না' ভোট প্রচলন করা;
একাধিক প্রতীকে ভোট প্রদান করা হলে ভোটটি বাতিল ঘোষণা না করে বরং 'না' ভোট হিসাবে গণ্য করার প্রস্তাব; এবং জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের নিবন্ধিত প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি’র লিখিত প্রস্তবনার মধ্যে রয়েছে:-

১। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন:

ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে সংসদ নির্বাচন সংবিধানের বিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে এর কোনো বিকল্প নাই। তবে অবস্থিত সরকার যাতে নির্বাচনের সময় ক্ষমতার প্রভাব খাটাতে না পারে তার জন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত বা উন্নয়নমূলক কোন কাজ করতে পারবে না; নির্বাচনকালীন সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্বাচনকালীন সম্পর্কিত কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীন ন্যস্ত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগের তিনমাস ও পরের তিনমাস নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বদলি, পদোন্নতি, কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি প্রদানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ হিসাবে কাজ করবে। এর জন্য সংবিধানের সংশোধনের কোনো প্রয়োজন হবে না।

২। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংযোজনের যে ব্যবস্থা সময় সময় নিয়ে থাকে তা যথোপযুক্ত হয় না বলে জনমনে ধারণা। এ ক্ষেত্রে এনআইডি ও তার সংশোধন নিয়ে বহু বিভ্রান্তি আছে। এসব দূর করতে ভোটার তালিকা কেবল প্রকাশ্যে টাঙ্গিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট হবে না, এখন প্রযুক্তির উন্নতির পর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং যথাযথ প্রচারের মাধ্যমে ভোটারদের সংশোধন -সংযোজনের সুযোগ দিতে হবে।

ক) বাংলাদেশ কোলাবরেটার্স (স্পেশাল ট্রাইবুন্যাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত কেউ ভোটার হতে পারবেন না। এছাড়া যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সংগঠনের সদস্য, , ব্যক্তি, জঙ্গী তৎপরতায় যুক্ত ব্যক্তি ও মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা বাদ দিতে হবে।  

খ) ইতোমধ্যেই প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

গ) পার্বত্য অঞ্চলে পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।

৩ । বর্তমান জন শুমারির ফলাফল প্রকাশের পরপরই নির্বাচনী এলাকা পুণনির্ধারণের প্রশ্ন আসবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

৪। ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিটি নির্বাচন কমিশনকেই নির্বাচনে টাকার খেলা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন পক্ষান্তরে নির্বাচনী ব্যয়সীমা বাড়িয়ে চলেছে এবং নির্বাচনি খরচ নিয়ন্ত্রণে আগে ও পরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।

ক) ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে নির্বাচনী ব্যয়সীমা যুক্তিসঙ্গতভাবে কমিয়ে আনতে পোস্টার, লিফলেট, ডিজিটাল প্রচার, রেডিও- টেলিভিশনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য আরপিও ও নির্বাচনী আচরণবিধিতে সুস্পষ্ট বিধান রাখতে হবে।  

খ) প্রার্থী বা তার হয়ে যে কেউই খরচ করুক না কেন সেটা প্রার্থীর ব্যয় হিসাবে গণ্য হবে এবং তা কোনো ক্রমে নির্বাচনী ব্যয় সীমা অতিক্রম করবে না।

গ) প্রতি নির্বাচনী এলাকায় একজন নির্ধারিত কর্মকর্তা প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় মনিটর করবেন ও
নির্বাচন কমিশনকে নিয়মিত রিপোর্ট দেবেন। এই রিপোর্টের সঙ্গে প্রার্থীর দেওয়া নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী মিলিয়ে দেখা হবে।

ঘ) প্রার্থীর নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের বিবরণ সর্বসাধারণকে জ্ঞাত করার জন্য উম্মুক্ত দলিল হিসাবে রাখতে হবে এবং গণমাধ্যমসহ যে কেউ তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঙ) নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের হিসাবে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে এবং ওই হিসাব না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সদস্যের শপথ গ্রহণ স্থগিত থাকবে।

চ) নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ব্যয় মেটাতে নির্বাচনী এলাকা ভোটার সংখ্যা অনুসারে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, মার্কা সম্বলিত হ্যান্ডবিল, তিনকপি ভোটার তালিকা (সিডিসহ) সরবরাহ করবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে নির্বাচন ম্যানিফেস্টোর ও মার্কা প্রচারের ব্যবস্থা করবে।

৫। নির্বাচনকে সন্ত্রাস পেশী শক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তমুক্ত করতে হবে।

৬. ওয়ার্কার্স পার্টি পূর্বের সকল প্রস্তাবে সংসদে প্রতিনিধিত্বের ধরন ক্ষেত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportioanl Represation) সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামত রেখেছে। এটা করতে গেলে, সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

৭. নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার ও সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি না হতে পারে, তার উদ্যোগ নিতে হবে।

৮. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও ধর্মকে ব্যবহারকারী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

৯. নির্বাচনে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত ও প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রজেক্টশন সভার আয়োজন করবে ইসি।

১০. নির্বাচনকালীন একান্ত প্রয়োজনে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করতে পারেন। এবং

১১. সংস্কার সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: