• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ইসির ১২ নির্দেশনা

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ২৫ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ইসির ১২ নির্দেশনা

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা তরান্বিত করা এবং নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে ১২টি নির্দেশনা দিয়ে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত নির্দেশনাটি সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। 

নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যই ছিল নাগরিক সেবা আরও সহজ ও গতিশীল করা। সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে ক, খ, ও গ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনসমূহ সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাইকরণ এবং প্রয়োজনানুসারে তদন্ত করতঃ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকেই আবেদন নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করে নাগরিক সেবাকে গতিশীল করার নিমিত্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। এ কার্যক্রম সুচারুরুপে সম্পাদন করতে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিম্নোক্ত দায়িত্বসমূহ পালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো:

নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে; দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাভুক্ত (ক, খ, গ) ক্যাটাগরির আবেদনসমূহ পরীক্ষান্তে নিজেই নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে পারবেন; যথাযথ শিক্ষা সনদ, জন্ম সনদ, বা অন্যান্য যৌক্তিক প্রয়োজনীয় দলিলাদি থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত দলিলাদি চাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে; দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা হতে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে শুনানী গ্রহণ ও দাখিলকৃত যৌক্তিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাধীন আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে; মাঠপর্যায়ে সকল ক্যাটগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ (দুই) দিন শুনানী গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানী প্রদানের তারিখের পরবর্তী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে; ক্যাটাগরি বিভাজনের পর হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনের আবেদনগুলো ক্যাটাগরি 'ক' ৭ কার্য দিবস, ক্যাটাগরি 'খ' ১৫ কার্য দিবস ও ক্যাটাগরি ‘গ’ ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করবেন।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাগণ তার আওতাধীন যে সকল আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থ হবেন, সে সকল আবেদনসমূহের সংশ্লিষ্ট দলিলাদি, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাগণ সু-স্পষ্ট মতামতসহ আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির জন্য মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রেরণ করবেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের আলোকে 'গ'
ক্যাটাগরী হতে 'ঘ' ক্যাটাগরীতে স্থানান্তরের সুপারিশ করতে পারবেন; দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে তার কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারে ইউজার অ্যাকাউন্টটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনের আবেদন নিষ্পন্নের বিষয়টি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ হতে কেন্দ্রীয় ভাবে পর্যবেক্ষনের আওতায় থাকবে। সকল প্রকার লগ এনআইডি কেন্দ্রিয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে, এতে প্রত্যেক ইউজার তার কর্মকান্ডের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে।

যে সকল নাগরিক অনলাইনে আবেদন করতে অসমর্থ হবেন তাদেরকে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে অনলাইনে আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। হেল্প ডেস্কক অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং সংশোধন সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দলিলাদির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে; এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ হতে কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদনের ক্যাটাগরী বিভাজন করার ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

জানা যায়, বর্তমানে কমবেশি তিন লাখের মতো এনআইডি সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পন্ন করার জন্যই মাঠপর্যায়ে নতুন করে আবার নির্দেশনা দিলো কমিশন।

ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে এনআইডি সেবা ফ্রি ছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে হারানো এনআইডি তোলা ও সংশোধন সেবায় ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি সূত্র জানায়, ২০০৭-২০০৮ সালের ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৭ এবং সর্বশেষ ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারতের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২ মার্চ ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

মন্তব্য করুন: