• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হতাশ হলে চলবে না, ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২৬ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
হতাশ হলে চলবে না, ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে: সিইসি

হতাশ না হয়ে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর সঙ্গে সংলাপে সিইসি এ আহ্বান জানান।

সিইসি বলেন, আমরা আমাদের দায়িত্ব আইনের আলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। লজ্জা পেয়েছেন (এনপিপির একনেতা নিজে প্রার্থী হয়েও ভোট দিতে পারেননি), যে অবস্থান দেখেছেন এর মধ্য থেকেই সেখান থেকে আমাদের উঠে আসতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশন একা দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, যদি না আপনারা পাশে থাকেন।
 
তিনি বলেন, উনি (নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান) যেটাকে ডাকাত বলেছিলেন। যেয়ে করে কি বলে আপনার ভোট আর দেওয়া লাগবে না। আমি আপনাকে হেল্প করছি, দিয়ে দিচ্ছি। এসব আমাদের নলেজে আছে। আর বেশকিছু অভিযোগ বা আমাদের সিস্টেমে যে ভুলভ্রান্তি এগুলো শুনতে পেরেছি। আমরা কিন্তু নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি এগুলোকে ওভারকাম করার জন্য। একবার হয়েছে বলে যে প্রতিবারই হবে এভাবে আশা ছেড়ে দিলে তো হবে না। আশাটা রাখবেন, আমরা পাশে আছি ইনশাআল্লাহ। তারপরেও যদি এরকম কিছু হয়, এবার কিন্তু আমাদের কানেক্টিভিটি অনেক বেশি থাকবে আপনাদের সাথে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাতে পারবেন। সিসি টিভি থাকবে, আমাদের লোক থাকবেন। 
 
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেউ বলবেন যে যারা আসার আসুক, না আসলে নাই। না, আমি বলবো নির্বাচনে যদি সব দল থাকে তাহলে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। আপনিই প্রতিহত করতে পারেন। এটা কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ, যেটা বহুদলীয় হবে, বহুমাত্রিক হবে এবং সব দলের সহাবস্থান থাকবে। আমরা সাহায্য করতে চাই, সাহায্য সহায়তা পেতে চাই।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি যদি হারি সেটা বড় কথা নয়, কিন্তু আমাদের মনস্তাত্তিক এমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনোভাবেই হারবো না। কিন্তু হারতে তো একজনকে হবেই। এই পরিবর্তনটাও এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জিতলে খুশি লাগবে, হারলে হয়তো মনে কষ্ট লাগবে। কিন্তু মনস্তাত্তিক যে সংকট- হারা যাবে না, এটা অর্থশক্তির কারণে হতে পারে, অন্য কোনো কারণে অথবা রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে হতে পারে। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে ওঠে আসতে হবে। গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে, এর বিকাশকে বুঝতে হবে, এর ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতাকে বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের ভূমিকা যদি ইতিবাচক না হয়, সে দায় আপনাদেরও রাখতে হবে। ছোট দল হন, বড় দল হন এই জিনিসগুলো আপনাদেরও নজরতদারিতে রাখতে হবে।  

সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় অনেকটা ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপরই এসে যায়। সংবিধানে সে কথা বলা হয়েছে। আমাদের যে আইন বিভিমালা গুলো রয়েছে, সে সহায়তা সরকারকে দিতে বলবো, সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। আশা করবো সরকার সে সহায়তা দেবে। সরকারও সেটা বুঝবে। আমরাও আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করবো। 

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া যাতে না হয় সেটা আমরা চেষ্টা করবো। রাজনৈতিক হয়রানি যেন না হয় সেটা কথা বলেছেন। গণহারে যদি কিছু হয় সেটা পেপার পত্রিকায় আসবে। আমরা সেটা লক্ষ্য রাখবো।

এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। এছাড়া সিইসির সঙ্গে চার কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: