গণঅভ্যুত্থানে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৮২৬ কয়েদি

১৯ জুলাই ২০২৪ নরসিংদী জেলা কারাগারে ভাঙচুর ও বিভিন্ন কক্ষে আগুন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে দেওয়া হয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশ-বিদেশে অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিলো নরসিংদী জেলা কারাগার। গত বছরের ১৯ জুলাই জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এদিন পালিয়ে যায় ৮২৬ জন কয়েদি। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে এদের অনেকেই।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে উত্তাল ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী জেলাও। অন্যান্য জেলা শহরের মতো নরসিংদীর শিক্ষার্থীরাও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। চলে পুলিশ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি।
সেদিন আহত হন অনেকেই। পুলিশের গুলিতে নরসিংদীতে প্রথম শহীদ হন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহমীদ ভূঁইয়া। তার শহীদ হওয়ার খবর পুরো জেলায় ছড়িয়ে পরলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। জেলখানার মোড় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদমূলক বিভিন্ন শ্লোগান দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
তাহমীদ হত্যা এবং ফ্যাসিস্ট পতন আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই ২০২৪ এর বিকালে ঘটে জেলার সবচেয়ে বড় ঘটনা। সেদিন নরসিংদী জেলা কারাগারের মূল ফটক ভেঙে ফেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা। কারাগারে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। খুলে দেওয়া হয় কয়েদিদের বন্দি সেল। পালিয়ে যায় প্রায় সাড়ে আটশ’ কয়েদি।
ঘটনার পর কারাগারটি সংস্কার করে পুনরায় বন্দী রাখার জন্য উপযুক্ত করা হয়। তবে, এখনো উদ্ধার হয়নি ২৮টি অস্ত্র এবং ৬ হাজারের বেশি গোলাবারুদ। এক বছরে আত্মসমর্পণ এবং পুলিশের অভিযানে কারাগারে ফিরেছেন সাড়ে ৬ শ’র বেশি কয়েদি। বাকিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নরসিংদীতে শহীদ হয়েছেন ২০ জন। আহত হন সাড়ে ৪শ’র বেশি মানুষ। তবে, বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: