দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ, তবুও অপ্রতিরোধ্য ছাত্র-জনতা

‘শুট অ্যাট সাইট’ বা দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশনায় ২৪’র ২০ জুলাই চলছিলো কারফিউ। জনতার রাজধানীর দিকে আসা ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছিল সামরিক বাহিনী। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারের এসব হুমকি পরোয়া না করে দেশজুড়ে রাজপথে নেমেছিলো ছাত্র-জনতা। এদিন হত্যাকাণ্ড চালায় সরকার, নিহত হয় ২৬ জন। ছাত্রদের সাথে বৈঠকে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা সরকার। আটক করা হয় আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ২০ জুলাইয়ের সকালটা ছিল অন্যরকম। দেখামাত্রই আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশনা ছিল হাসিনা সরকারের।
কারফিউ ও গুলির আতঙ্ক পরাজিত করে সেদিন রাজপথ দখলে নেয় ছাত্র-জনতা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও গুলিতে মারা যায় ২৬ জন। সরকারের গুলি ও দমন-পীড়নে স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন।
রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার দখল নেয় আন্দোলনকারীরা। ঢাকার প্রবেশপথকে অবরুদ্ধ করে ফেলে ছাত্র-জনতা। আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কোথাও কোথাও ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টারও।
আন্দোলনের মুখে ছাত্রদের সাথে সমঝোতার আগ্রহ দেখায় শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু, বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দেওয়া আট দফা আরো চাপে ফেলে আওয়ামী লীগ সরকারকে।
কারফিউ চলমান রাখার পাশাপাশি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতা ও আন্দোলনকারীদের আটক করা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে তুলে নিয়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: