ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাচ্ছে না এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী

বাধ্যতামূলক অবসর, দুদকের তদন্ত ও বরখাস্ত আতঙ্কে দিন কাটছে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়েও রেহাই মিলছে না অনেকের। এরইমধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন কর্মচারী।
এদিকে, আন্দোলনে জড়িতদের বেছে বেছে দুদকের তদন্ত ও বরখাস্তের সিদ্ধান্ত খুব একটা ভাল চোখে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বদলি-বরখাস্তের ভয়-আতঙ্ক প্রতিনিয়ত তাড়া করলে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তারা।
জানা যায়, দেড় মাসের আন্দোলনের জের ধরে এরইমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন এনবিআরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে থাকা তিন সদস্যসহ শীর্ষ ৪ কর্মকর্তা। বরখাস্ত হয়েছেন আন্দোলনের নেতৃত্বে দেওয়া এনবিআরের সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার। দুদকের তদন্ত জালে আটকা পড়েছেন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকাও। সরকারের বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় মঙ্গলবার ১৪ জন এবং গত বুধবার ৯ কর্মচারিকে বরখাস্ত করা হয়।
সবশেষ গেলো বৃহস্পতিবারও তিন কর পরিদর্শকের বরখাস্তের আদেশে সই করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। বরখাস্তের জন্য চেয়ারম্যানের টেবিলে রয়েছে আরও অনেকের নাম।
এ নিয়ে চরম আতঙ্কে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের আহবায়ক ফাওজুল কবীর খান জানিয়েছেন, সরকারের আস্থা হারানো কর্মচারীদের অভয় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে, এনবিআরের সাবেক সদস্য ও সাবেক এই সচিব মনে করেন, আন্দোলনের নামে চরম বাড়াবাড়ি করেছেন কর্মচারীরা। তবে, বেছে বেছে দুদকের তদন্ত বা বরখাস্তের ফল ভাল হবে না, এমন মত তার। এনবিআরের কাজে গতি আনতে নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগ আলাদা করার পাশাপাশি আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব দূর করারও তাগিদ দেন তিনি।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: