• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইউপি ভোটঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বামী-স্ত্রী-দেবর, বাবা-ছেলে, চাচা-ভাতিজা

প্রকাশিত: ২১:৩০, ৩ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৪:৩৬, ৪ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
ইউপি ভোটঃ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বামী-স্ত্রী-দেবর, বাবা-ছেলে, চাচা-ভাতিজা

ফাইল ছবি

আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। এই দিন একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্বামী, স্ত্রী ও দেবর। আবার আরেক ওয়ার্ডে বাবা’র সংগে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছেলে। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে চাচা ও ভাতিজা। এমনটা ঘটেছে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঞ্জালিয়া ও চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডে। 

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই দুই ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সিহাব উদ্দিন বাংলাভিশন ডিজিটালকে জানান, জাঞ্জালিয়া ও চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদে মোট ১২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৮৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, জাঞ্জালিয়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন ১১ জন, সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডের জন্য ১৩ জন এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য ৪৭জন। এই ইউপিতে মোট মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭১ জন। চরফরাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন, সংরক্ষিত তিন ওয়ার্ডে ১০ জন এবং সাধারণ নয়টি ওয়ার্ডে ৩৭ জন। এই ইউপিতে মোট মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫২ জন। 

তিনি আরও জানান, নারীরা সাধারণত সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু চরফরাদি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা খাতুন নামে একজন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর স্বামী মো. বাছির উদ্দিন (বাচ্চু)-ও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, এই একই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মো. বাছির উদ্দিন (বাচ্চু)-এর আপন ভাইও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা তিনজনসহ এই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

এই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, জাঞ্জালিয়া ইউপি’র ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাত জন। এরমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কুদ্দুস মিয়া’র সংগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার ছেলে মো. মাসুদ মিয়া। এছাড়া এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চাচা শাহারিয়ার মানিক ও তার ভাতিজা মুখলেছ। 

একই পদে একই পরিবারের তিনজনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনা আমার চাকরি জীবনের এরআগে কখনো দেখিনি যোগ করেন তিনি। 

গত ১৮ ডিসেম্বর ষষ্ঠ ধাপের ইউপি ভোটের তফসিলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তফসিল অনুযায়ী, আজ ছিলো রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ৬ জানুয়ারি, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি।  এই ধাপে সবগুলো ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইতিমধ্যে চার ধাপের ইউপি ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ৭০৭ ইউপিতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি ২১৯টি এবং সপ্তম ধাপে ১৩৮ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

 

বিভি/এইচকে/রিসি 

মন্তব্য করুন: