• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

না.গঞ্জ সিটি দিয়ে ‘স্মার্ট বুথ’ যুগে প্রবেশ করতে চায় ইসি

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১১ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ২২:৪৬, ১১ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
না.গঞ্জ সিটি দিয়ে ‘স্মার্ট বুথ’ যুগে প্রবেশ করতে চায় ইসি

নির্বাচনে সনাতন পদ্ধতির পাটের চট বা কাপড় দিয়ে মোড়া গোপন ভোটকক্ষের পরিবর্তে পোর্টেবল স্মার্ট বুথ বা স্থায়ী গোপন ভোটকক্ষ ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন দিয়ে স্মার্ট যুগে প্রবেশ করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পাইলট প্রকল্প হিসেবে একটি কেন্দ্রে পোর্টেবল স্মার্ট বুথ ব্যবহার করার উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই এটি কার্যকর করা হবে। 

এটি হলে কোনো গোপন কক্ষ করার দরকার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে এটি ব্যবহার করে ভোটারদের আগ্রহ দেখা গেলে আস্তে আস্তে এর ব্যবহার বাড়ানো হবে।  

জানা যায়, গত বছর ২৬ অক্টোবর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা’র দফতরের সামনে দেখা যায় চারটি নমুনা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বিকালে বাকি নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন সিইসি। কীভাবে এটি বাস্তাবায়ন করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি’র যুগ্মসচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, বর্তমানে কাপড় দিয়ে যে গোপন ভোটকক্ষ তৈরি করা হয়, তা খুবই নিম্নমানের। তাই এটি কীভাবে আধুনিকায়ন করা যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। 

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্মার্ট বুথ তৈরি করতে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। জাতীয় সংসদে ৪১ হাজারের মতো কেন্দ্রে কমবেশি দুই লাখ বুথ থাকে। এতো সংখ্যক বুথ তৈরি করতে গেলে এতে অনেক টাকা খরচ হবে। এছাড়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে এটি সংরক্ষণ করে রাখা। তবে স্মার্ট বুথ করতে পারলে এটি একটি অবশ্যই ভালো কাজ হবে। 

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৭-এর মাঝামাঝি স্মার্ট বুথ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলো ইসি। সেই সময় দায়িত্বে থাকা ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ জানিয়েছিলেন, ভোটদান পদ্ধতিকে আরও কীভাবে স্মার্ট করা যায়, তা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও সহজ, প্রিজাইডিং অফিসারের চাপ কমানো এবং পোলিং স্টেশনের কার্যক্রমও সহজ করা হবে।

তিনি জানান, প্রিজাইডিং অফিসারকে কাপড় কেনার জন্য কিছু টাকা দেওয়া হয়। তারপর কোথাও ব্লাকবোর্ড কোথাও, টেবিল লাগিয়ে গোপন কক্ষ করে। এতে ভোটাররা অনেক ক্ষেত্রেই গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন না। স্মার্ট গোপনকক্ষ করা সম্ভব হলে অন্য কেউ ভোটদানকারীকে আশপাশ থেকে দেখতে পারবেন না। এটি হলে গোপনীয়তা রক্ষা করে নিশ্চিন্তে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

সচিব আরও বলেছিলেন, গোপন কক্ষের বেষ্টনি স্মার্ট এবং স্থায়ী করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভোট শেষে এগুলো উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতেও ব্যবহার করা যাবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া ২০০৮-এ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) থেকে এসব কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিলেও সেই সময় তা গ্রহণ করে কমিশন। 

বিভি/এইচকে/এএন

মন্তব্য করুন: