• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কুসিক ভোট: ছয়শ মামলায় ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ২১ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
কুসিক ভোট: ছয়শ মামলায় ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

ছবি: সংগৃহীত।

আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কোনো ছাড় দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য সতর্ক করার পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া এই সিটি করপোরেশন এলাকায় পুলিশি টহল, চেকপোস্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রায় ছয়শ মামলা দায়ের করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বাংলাভিশনকে জানান, কুমিল্লা 
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত পুলিশি টহল ও পুলিশের চেকপোস্টের মাধ্যমে ৫৪৭টি মোটরসাইকেল-এর বিপরীতে ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ৩৪টি মামলায় ৪০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা  আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

তিনি জানান, কুমিল্লা সিটি’র সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। আর প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোট কক্ষের যেখানে ভোটাররা ভোট দেবেন, শুধু সেই অংশে সিসি ক্যামেরা থাকবে না। এতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সহজেই তা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই সিটিতে নির্বাচনি পরিবেশ অনুকূলে রাখতে ১২ মে থেকে মাঠে রয়েছেন তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনের একমাস আগে থেকে (১৫ মে থেকে) এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছেন কমিশন।
 
মঙ্গলবার (১৭ মে) এই সিটিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১২০ জন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর বাছাইয়ে নয় জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন এই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

যাচাই-বাছাইয়ের পর মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। 

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন যে ছয়জন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান।

এদিকে এই সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রার্থী, সমর্থক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি। 

আচরণবিধি লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে ইসির যুগ্মসচিব ও  পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এই বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

তিনি জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারণা শুরু হয় প্রতীক বরাদ্দের পরে। এর আগে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ শো-ডাউন করা যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারে সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ায়ও আচরণবিধিতে মানা রয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ১৯ মে, আপিল ২০ থেকে ২২ মে, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৫ মে'র মধ্যে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১৫ জুন।

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ ভোটার  এবং দু'জন  'হিজড়া' ভোটার রয়েছেন।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: