• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জীবিতরা যেন মারা না যায়, মাঠপর্যায়ে ইসি’র চিঠি

প্রকাশিত: ২০:১৯, ৩০ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
জীবিতরা যেন মারা না যায়, মাঠপর্যায়ে ইসি’র চিঠি

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বর্তমানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই হালনাগাদ কার্যক্রমে জীবিত কোনো ব্যক্তির নাম যেন কর্তন করা না হয় সেক্ষেত্রে অতি সতর্ক থাকতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।

সম্প্রতি ইসির সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে সকল আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো  হয়।

এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কর্তনের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা অতি সতর্কতার সহিত সম্পন্ন করা বাঞ্চনীয়। কাজটি সতর্কতার সঙ্গে না করলে একজন জীবিত ভোটার ভোটার তালিকা হতে কর্তন হয়ে যেতে পারে। তখন সংশ্লিষ্ট ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র অচল হয়ে যাবে।

এই অবস্থায় অধিকতর যাচাই সাপেক্ষে কার্ড ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হতে কর্তনের জন্য একটি মডিউল ডেভলপ করা হয়েছে। কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের মাধ্যমে সম্পাদন করার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

মৃত ভোটার কর্তনের জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:- কার্ড ম্যনেজমেন্ট সফটওয়্যারের Citizen Module এ ক্লিক করবেন; ভোটার নম্বর/এনআইডি ব্যবহার করে খুজে বের করবেন; তথ্যের নিচের দিকে Edit Buton এ ক্লিক করবেন; ভোটারের মৃত্যুর তারিখ প্রদান করবেন এবং ফরম-১২ স্ক্যান করে Upload এবং Submit করবেন; এবং সাবমিট করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটারের স্ট্যাটাস “Dead” এবং ক্রমিক নম্বর “শূন্য” (০) হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে অনেকেই জীবিত থাকা সত্বেও ভুলক্রমে মৃত স্ট্যাটাসে চলে গেছেন। যার কারণে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নাগরিকদের যাতে আর এই সংক্রান্ত অনাকাঙ্খিত ভোগান্তি পোহাতে না হয়, তার জন্য মাঠপর্যায়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। 

এই বছর ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণ করা নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।  তথ্য সংগ্রহ করা ১৮ বছরের কম বয়সীরা পরবর্তীতে বয়স বয়স পূর্ণ হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবেন। 

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

প্রথম থেকে এনআইডি হারানো ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা বিনামূল্যে দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

বিভি/এইচকে

মন্তব্য করুন: