• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববাজারের সাথে তাল মেলাতে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৬ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ২৩:৫৯, ৬ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিশ্ববাজারের সাথে তাল মেলাতে বেড়েছে  জ্বালানি তেলের দাম

সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ৮০ থেকে ১১৪, অকটেনের লিটার ৮৯ থেকে ১৩৫ এবং পেট্রোলের লিটার ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। দেশে জ্বালানি তেলের হঠাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে তেলের দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস করার প্রক্রিয়া সব দেশেই চলমান। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কতটুকু যৌক্তিক এই মূল্য বৃদ্ধি?

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ থেকে বেড়ে ১৩৯ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্চে তা বেড়ে ১৫৬.০৩ ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। তেলের এই মূল্য বৃদ্ধি ছিল গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথেই দেশে দাম বাড়ানো হয়নি। ফলশ্রুতিতে শুধু গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।]

আন্তর্জাতিক তেলের বাজার এমন পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় প্রকৃতপক্ষেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। এছাড়া জ্বালানি তেলের এমন মূল্য বৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশেই নয়, আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করে ভারত সরকার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ রুপি=১.২৩ টাকা ধরে) ডিজেল ১১৪.০৯ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০.৪২ টাকা। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ টাকা এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়া ভারতের তুলনায় মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার শঙ্কাও ছিল অনেকাংশে।

বিভিন্ন দেশে ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্য তালিকা

প্রসঙ্গত, জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৭ বার ডিজেলের দাম সমন্বয় হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ বার বেড়েছে আর কমেছে মাত্র ৪ বার। এর মধ্যে বিএনপি শাসনামলেই (২০০১-২০০৬) বেড়েছে ৯ বার।

তবে বর্তমান সরকারের আমলে জ্বালানি তেলের দাম একাধিকবার কমানোর নজির রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। এর আগেও ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে।  সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: