• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সংরক্ষিত ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দের আদেশ স্থগিত

প্রকাশিত: ২১:০১, ১১ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২১:০১, ১১ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
সংরক্ষিত ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দের আদেশ স্থগিত

ফাইল ছবি।

সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য রক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই বরাদ্দের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ ও বন সচিব, ভূমি সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মো. মনিরুজ্জামান কবির। শুনানিতে আদালতকে তিনি বলেন, ৭০০ একর বনভূমির মালিক বন বিভাগ। সেই বন বিভাগের আপত্তি উপেক্ষা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এই ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই বনভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয় নয়। পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা রক্ষার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় রয়েছে। সেখানে সরকারের একটি বিভাগ ৭০০ একর বনভূমি ধ্বংস করে প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে। যদি এখানে একাডেমি করা হয় তাহলে ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসবে।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন। সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে ওই ‘রক্ষিত বনভূমির’ ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় এবং বিভিন্ন মহলে আলোচনা উঠে।

বন বিভাগ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

বন বিভাগের দাবি, এই জমি তাদের। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এই বনভূমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা নিষেধ। পরে ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ মো. মনিরুজ্জামান কবির।

বিভি/এমএস

মন্তব্য করুন: