বাংলাদেশ উপকূলে ‘জাওয়াদ’ আসছে আজ রাতেই
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ রবিবার রাতেই নিম্নচাপ আকারে আসতে পারে বাংলাদেশ উপকূলে। এর প্রভাবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেখানে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এই জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসংগে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে যাতায়াতকারী সব জাহাজ চলাচল আজ রবিবার সকাল থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
টেকনাফ সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১৫৪টি আবাসিক হোটেলে বর্তমানে সহস্রাধিক পর্যটক রয়েছেন। তাঁরা গতকাল রাতেও ফিরে যেতে পারেননি। কারণ সেন্ট মার্টিন থেকে জাহাজ ছাড়ার পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে এগুলো চলাচল বন্ধের ঘোষণা আসে। ফলে ওই পর্যটকদের পরের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনেই থাকতে হবে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে ওঠার আগেই মূলত দুর্বল হয়ে পড়বে। আর তা আমাদের দেশের উপকূলে আসতে আসতে নিম্নচাপে পরিণত হবে।’
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: