• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চৈতি আর ডালিয়ার অপেক্ষা ফুরোলো শূন্যতাকে সঙ্গী করে

জাহারা মিতু, অভিনেত্রী

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ২০ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
চৈতি আর ডালিয়ার অপেক্ষা ফুরোলো শূন্যতাকে সঙ্গী করে

স্বামীকে আগলে রেখেছিলেন। হাসপাতালের বিছানাতেও অসুস্থ স্বামীকে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিতেন। অবসর সময় যেন অসুস্থ স্বামীর বিরক্তি বোধ তৈরি না হয়, নিজে পাশে বসে থেকে বই পড়ে শোনাতেন। আশার বাণী শোনাতেন। প্রবোধ দিতেন সুস্থ হয়ে উঠবেন, হয়তো চৈতি নিজেও বিশ্বাস করতেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন রুবেল। 


কেননা ২০১৯ সালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তার কাছে ফিরে এসেছিলেন রুবেল। আবার নতুন করে শুরু করেন, সবুজ ঘাসে ক্রিকেটকে সখ্য করে চলা। কিন্তু এবার চৈতির অপেক্ষাকে মিথ্যে করে দিয়ে চলে গেলেন রুবেল। চৈতির অপেক্ষা ফুরোলো শূন্যতাকে সঙ্গী করে। মোশাররফ রুবেল চলে গেলেন না ফেরার দেশে, যেখান থেকে ফেরে না কেউ। একদিনে মন ভার করার মতো খবর। চৈতির জন্য মন খারাপ লাগার মতো দিন। 


শহরটা এমনই একটা মন খারাপ থেকে বের হতে না হতেই আরেকটা মন খারাপ আচ্ছন্ন করে ফেলে। চৈতি হয়তো নিজেকে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে রেখেছিলেন এবার। কিন্তু ডালিয়া একদমই প্রস্তুত ছিলেন, যে স্বামী তার পাশে গত রাতেও ঘুমিয়েছিলেন, হয়তো ভোরে একসঙ্গে সেহরিও করেছিলেন। তারপর সকালে নিজের কর্মস্থলে বেরিয়েছিলেন স্বামী নাহিদ।
কামরাঙ্গীরচর দেওয়ান বাড়ি এলাকার বাসা থেকে নাহিদ কর্মস্থল এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের চাকরিস্থলে আসার সময়ই নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের কবলে পড়েন। আহত হয়ে পড়ে থাকেন রাস্তায়। নাহিদকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নাহিদ বেঁচে ফিরলেন না। চলে গেলেন রাত পৌনে দশটায়। 
মাত্র ৬ মাস আগে বিয়ে করে কামরাঙ্গীরচরে সংসার পেতেছিলেন ডালিয়া ও নাহিদ। সেই নাহিদ যে ফিরবেন না, সেটা কি ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলেন ডালিয়া। ভেবেছিলেন হাত থেকে বিয়ের মেহেদির রঙ না মুছে যেতেই মুছে যাবেন নাহিদ? না, শহরটাই এমন। এই শহরে হঠাৎ করেই একটা জীবন্ত মানুষ নাই হয়ে যায়।

মন্তব্য করুন: