• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিউ ইয়র্ক বনাম লন্ডন

তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৫:১১, ২৮ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
নিউ ইয়র্ক বনাম লন্ডন

সংগৃহীত ছবি

নিউ ইয়র্ক থেকে যারা লন্ডনে বেড়াতে যাবেন তাদের কাছে লন্ডনকে খুবই ঘিঞ্চি শহর মনে হবে; খুবই ন্যারো স্ট্রিটস লন্ডনে। তবে, লন্ডনের তিন’টি বিষয়ে আমার চোখ আটকে গেছে। যদিও এটা আমার প্রথম সফর ছিলো এবং তা ছিলো অল্প মাত্র কয়েকটা দিনের জন্য - যা কোন একটা শহরকে বুঝার জন্য বা ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ঠ নয়। প্রথম যে বিষয়টা আমার চোখে আটকে গেছে সেটা হচ্ছে বৃটিশ হোয়াইট মেয়েদের পোষাক পরিচ্ছদ। বৃটিশ হোয়াইট মেয়েরা পোষাকের বিষয়ে খুবই খোলামেলা। খুবই সংক্ষিপ্ত পোষাক (কখনও উগ্রতা প্রকাশ পায়) পরিধান করে তারা; যথেষ্ঠ রুচিকরও নয়। কিন্তু আমেরিকায় হোয়াইট মেয়েরা পোষাকের বিষয়ে খুবই সচেতন; এদের অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব ও সমৃদ্ধি রুচির মার্জিত পোষাক সবসময়ই আমাকে বিস্মিত ও মুগ্ধ করে। যারা ’হোয়াইট’ এবং ’হিস্পানিক’ যথাযথভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারেন না - তারা অনুগ্রহ করে বিরূপ মন্তব্য করবেন না।

 

আর দ্বিতীয় যে বিষয়টা আমাকে মুগ্ধ করেছে, সেটা হচ্ছে লন্ডন সাবওয়ে ট্রেনের সিটিং সিস্টেম। যেখানে নিউ ইয়র্ক সিটির সাবওয়ের সিটিং ব্যবস্থা উম্মুক্ত (পাশাপাশি ২ জন, ৩ জন বা ৫ জনও বসতে পারে - গাগাগাদি করেও বসা যায়)। কিন্তু লন্ডনে প্রতিটি সিটই ‘ইন্ডিভিজ্যুয়াল’; দু’পাশে হাতল দেয়া- গাদাগাগি করে বসার সুযোগ নেই। বিষয়টাতে বৃটিশদের আভিজাত্য প্রকাশিত হয়েছে। আমার খুবই ভালো লেগেছে বিষয়টা। যদিও লন্ডনের সাবওয়ে ট্রেনগুলো ছোট এবং নিউ ইয়র্কের মতো ব্যাপক নয়। তাছাড়া লন্ডনের সাবওয়ে সিস্টেমও যথেষ্ঠ বিভ্রান্তিকরও বটে। নিউ ইয়র্কের মতো বৃহৎ এবং অর্গানাইজড নয়। 
তৃতীয় আরও একটা বিষয় ছিলো, লন্ডনের স্ট্রিটে ক্রসিং এ আমি কোনও STOP সাইন-ই দেখিনি। ওখানে স্টপ সাইন কি ব্যবহৃত হয় না? নাকি আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। আমার চোখ তো তেমন না! যাই হোক, লন্ডন তথা বৃটেনে বসবাসরতদের কাছে আমার একটা জিজ্ঞাস্য রয়েছে - যার উত্তর আমি খুঁজে পাইনি। 

ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড নিয়ে ইউনাইটেড কিংডম গঠিত। এর মধ্যে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের লোকল প্রভেনশিয়াল বা স্টেট গর্ভণমেন্ট রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যেই নির্বাচিত সংসদ এবং তার একজন করে ’চীফ মিনিস্টার’ (ফার্স্ট মিনিস্টার)ও রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডে কোন লোকল ’ইংলিশ পার্লামেন্ট ব্যবস্থা’ নেই; এমনকি ইংল্যান্ডে আলাদা করে কোন ‘চীফ মিনিস্টার’ও নেই। ইংল্যান্ডে যা আছে তা হচ্ছে বৃটিশ পার্লামেন্ট। এবং বৃটিশ প্রাইম মিনিস্টারকেই ইংল্যান্ড এর প্রাইম মিনিস্টার হিসাবেই দেখা যাচ্ছে! তার মানে ইংল্যান্ড কি কোন স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টেট বা প্রভিন্স নয়? যদিও বৃটিশ স্টেটগুলোকে ‘কান্ট্রি’ (Country) বলা হচ্ছে! লোকল কোন গর্ভণমেন্ট ছাড়াই ইংল্যান্ড পরিচালিত হচ্ছে সরাসরি বৃটিশ গভর্ণমেন্ট দ্বারা? আমার কাছে বিষয়টি বিভ্রান্তিকর লেগেছে। লন্ডন সিটির একজন ‘মেয়র’ রয়েছে, সিটি কাউন্সিল রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ড এর ‘হেড অব স্টেট’ কেউ নেই! কেউ কি আমাকে ইংল্যান্ড এর ‘লোকল গর্ভণমেন্ট-ব্যবস্থা’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেন।

(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার  বাংলাভিশন নিবে না।)

মন্তব্য করুন: