নড়াইলের কেমিক্যাল মুক্ত শুঁটকি যাচ্ছে বিদেশে
কেমিক্যাল বিহীন শুঁটকি মাছ তৈরি ও রপ্তানি করে নিজের ভাগ্য বদল করছেন নড়াইলের ভীম বিশ্বাস। জেলেদের নায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গত বারো বছর যাবৎ তাদের কাছ থেকে পুটিমাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনে নিজ উদ্যোগে শুঁটকি তৈরি করেন তিনি।
এই মাছ রোদে শুকানো ও পরিচর্যার জন্য রয়েছে তার ছয়জন কর্মী। শুধু আশেপাশের জেলাতেই নয় ঢাকা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে তার নিকট হতে শুঁটকি ক্রয় করে নিয়ে যায়, যা রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, শুঁটকির মান বজায় রাখতে তাদের নিয়মিত তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় ফসলের মাঠের এক পাশে মাচা তৈরি করে শুকানো হচ্ছে পুটিমাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। জেলেরা বাজার থেকে পুটিমাছ ক্রয় করে ধুয়ে মাচায় রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরী করে। কোনো প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার না করে মাছ শুকিয়ে বস্তায় ভরে বাজারজাত করা হয়। ভীম বিশ্বাস দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর যাবত এভাবে শুঁটকি তৈরি করে রপ্তানি করছেন। জেলেদের অবিক্রিত মাছ নায্যমূল্যে ক্রয় করে তিনি এই শুঁটকি তৈরি করেন।
পুটিমাছের মূল্য তুলনামূলক সাদা মাছের চেয়ে অনেক বেশি। যদি পুটি শুঁটকির জন্য সরকার থেকে কোনো প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহযোগিতা বা লোনের ব্যবস্থা করা হতো, সেক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারতেন বলে জানান ভীম বিশ্বাস।
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। শুঁটকি মাছ প্রসেসিংয়ে যাতে নিষিদ্ধ কীটনাশক বা কোনো ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত না করে, সে ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
কার্তিক মাস থেকে শুরু করে চৈত্র মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস শুঁটকি তৈরীর কার্যক্রম চলে। গত বছর ৬০ মে. টন শুঁটকি উৎপাদন হলেও চলতি বছর এ পর্যন্ত ৪৬ মে. টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে। প্রতি কেজি পুটি মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে ক্রয় করে। পরে কেমিক্যাল মুক্ত শুঁটকি তৈরী করে প্রকার ভেদে ২হাজার থেকে ৬হাজার টাকা দরে বিক্রয় করা হয়।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: