ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে আনন্দ উৎসব, মিষ্টি বিতরণ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও ওয়ালি আসিফ ইনানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পঞ্চগড়ের সন্তান সাদ্দাম হোসেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জেলাজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব। বুধবার সকাল থেকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা সহ এলাকাবাসিরা ছুটে আসেন।
পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগ্য নেতৃত্ব এসেছে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকাবাসী।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হিসেবে সাদ্দাম হোসেনের নাম ঘোষণা করায় আনন্দ মিছিল করেছে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগ।
সাদ্দাম হোসেন ২০১১-২০১২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। তিনি মেধা ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনর্গল বক্তৃতার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আলোচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এজিএস পদে নির্বাচিত হন। মননশীল ও সৃজনশীল ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থীবান্ধব আচরণ, আপোষহীন, বাকপটু, সুবক্তা, পরিচ্ছন্ন ইমেজের অধিকারী, এখনও পর্যন্ত ছাত্রজীবনে কোনো অপরাধের সাথে তার নাম আলোচিত না হওয়া, আইন অনুষদের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রদের যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে আসা, ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে অনন্য সম্পর্ক স্থাপন, প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অধিকারী হওয়া ইত্যাদি নানা কারণে সাদ্দাম হোসেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
গত ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কমিটি ঘোষণার দায়িত্ব দেয়া হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
এর আগে, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। পরে বিতর্কের মুখে তারা পদত্যাগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ভারমুক্ত করা হয়। এরপর থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন জয় লেখক।
বিভি/এমএইচ/এজেড
মন্তব্য করুন: