বিএনপি’র আবু আসিফ নিখোঁজ না আত্মগোপনে! (ভিডিও)
ছবি: আবু আসিফ আহমেদ
আওয়ামী লীগ প্রার্থী না দেওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে উকিল সাত্তার ভুঁইয়ার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ। আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক এই সভাপতি তিন দিন ধরে 'নিখোঁজ' বলে দাবি করছেন তার স্বজনরা। তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বলেন, 'শুক্রবার বিকাল থেকে ফোনে পাচ্ছেন না আবু আসিফকে। তিনি কোথায় আছেন, জানেনও না।
তবে আসিফের পরিবার বিষয়টি প্রশাসন কিংবা পুলিশকে জানায়নি; কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘তিনি নিখোঁজ কিনা সে বিষয়েও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগও আসেনি।’
এদিকে, আবু আসিফ আহমেদ নিখোঁজ হননি, আত্মগোপনে রয়েছেন বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মো শাহগীর আলম। তিনি জানান, আবু আসিফ আহমেদকে আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ আটক করেনি। তিনি হয়তো আত্মগোপনে রয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান রতন জানান, আবু আসিফ আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি একটি সাজানো নাটক। এটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি ষড়যন্ত্র। এই সময় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে খুঁজে বের করারও দাবি জানান ।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তাতে প্রশ্ন উঠেছে আসিফ আসলেই নিখোঁজ না স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছেন! আবু আসিফের স্ত্রী ও কেয়াটেকার মিঠুর মধ্যকার একটি ফোনালাপ ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে। তাতে আসিফের স্ত্রী কেয়ারটেকার মিঠুর কাছে জানতে চান স্যার কই? উত্তরে মিঠু জানায় স্যার (আসিফ) বাসায় আছেন। এর পর কেয়ারটেকারকে দ্রুত ব্যাগ গোছানোর নির্দেশনা দেন আসিফের স্ত্রী। একেইসঙ্গে বাসার সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলেন এবং আসিফ বের হয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পর ক্যামেরা চালু করতে বলেন। আসিফ কোথায় আছে তা যেন কেউ না জানে সে বিষয়েও সতর্ক করেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপ-নির্বাচনে লড়তে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন কমিশন। তবে ইতোমধ্যে চারজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নেতা শাহজাহান আলম এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: