• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভোগান্তির শিকার

মোহাম্মদ আল-আমিন

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৩:২৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভোগান্তির শিকার

ফাইল ছবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তার নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভর্তি পরিক্ষার আয়োজন করতেন। মেডিকেল কলেজের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি তখনও আবিষ্কার হয়নি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। 

যখন একই দিনে দুটি বা তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, ভাইভার তারিখ নির্ধারণ করা হতো, তখন বিপাকে পড়তেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তাদের পৃথক পৃথক ফরম নিতে গুনতে হতো মোটা অংকের টাকা। তাই নানা সমস্যাকে সমাধানের লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

যদিও সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় একমত পোষণ করেনি। কিন্তু প্রক্রিয়াটি হিতে বিপরীত হয়।

যেখানে ভোগান্তি হ্রাস পায়নি বরং বেড়েছে নানা মানসিক চাপ। সনাতন পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় তার পছন্দের বিষয় সহজে ভর্তি হতো। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে পাশ করলেও একজন শিক্ষার্থীকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হয়, যেনো সে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পারে। 

তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন সময় মেরিট লিস্ট প্রকাশ হওয়ার কারণে তাকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলেও পরবর্তীতে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে গেলে তাকে পূর্বের ভর্তি বাতিল করতে হয়।

আলাদা আলাদা আবেদনের জন্য ফি দিতে হয় এবং ভর্তি বাতিলে হয় নানা সমস্যা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে মেরিট লিস্ট একবারই প্রকাশ হতো। ফলে শিক্ষার্থীরা সাথে সাথে ভর্তি নিশ্চিত করতেন। অপরদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আলাদা আলাদা মেরিট লিস্টের কারণে সিট ফাঁকা থাকে। এতে অনেকে ক্লাস শুরু হয়ে যাওয়ার পর ভর্তি হন। 

গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদনকারীর নিজ নিজ জেলায় পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও, পরীক্ষা হচ্ছে বিভাগীয় শহরগুলোতে। অনেকে নিজ জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান। সেজন্য তারা শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেন। কিন্তু সেখানে মেরিট লিস্টে না আসলে সে আর কোথাও ভর্তি হওয়া সম্ভব নয়।

তাই গুচ্ছ পদ্ধতি সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা, অর্থের অপচয় ও মানসিক চাপ। তাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়া উচিত।

লেখক: মোহাম্মদ আল-আমিন
শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। 

(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: