• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৯ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১৯:১৫, ১৯ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
খাগড়াছড়িতে মাসব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন

খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী দীঘিনালার ১ নম্বর নোয়াপাড়া অলুরি বৌদ্ধ বিহারে ৬৫তম দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে বৌদ্ধ নর-নারীদের পঞ্চশীল গ্রহণ, বৌদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, চীবরদান, কল্পতরুদান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদানসহ নানাবিধ দান করা হয়। দানের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শেষ হলো মাসব্যাপী কঠিন দানোৎসব।

দানোত্তম কঠিন চীবর দান উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শত শত পূণ্যার্থীরা বিহারে সমাগম হয়েছে। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পূণ্যার্থীর উদ্যেশ্যে বৌদ্ধবিহারে ধর্ম দেশনা দেন। এতে প্রধান ধর্ম আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড.জিনবোধি মহাথেরো। এছাড়াও ধর্মীয় সভায় বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মো.কাশেম। আষাঢ়ি পূর্ণিমার পর দিন থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী ওয়া বা বর্ষাব্রত (উপোষ) পালন শুরু হয়। তিন মাস পর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে প্রবারণা পূর্ণিমা। তারপর থেকে বিহারে বিহারে শুরু হয় কঠির চীবর দানোৎসব। 

জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। দায়ক দায়িকারা যে যার সাধ্যমত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করে বৌদ্ধসহ ভান্তেদেরকে দান করেছে। সন্ধ্যায় ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দষায় তাঁর প্রধান সেবিকা মহা পূণ্যবর্তী বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরী করে সুতা গুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহা যঙ্গ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে।
 

বিভি/এইচএমপি/এএন

মন্তব্য করুন: