• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রংপুরের ইজতেমায় অংশ নেবেন দুই লাখ মুসল্লি

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৮:২১, ২৫ নভেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
রংপুরের ইজতেমায় অংশ নেবেন দুই লাখ মুসল্লি

রংপুর নগরে ঘাঘট নদীর কোল ঘেঁষে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় না যাওয়া রংপুর জেলার দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি এতে অংশ নেবেন বলে ধারণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ভোর থেকে নগরির রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে উত্তম হাজীরহাটের রব্বানীর চরে তিন দিনের এই ইজতেমা শুরু হয়। ফজরের নামাজের পর আমবয়ান শুরু করে তাবলিগ জামাতের আলেমগণ। বিশাল আয়তনের এই মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শামিয়ানার নিচে অবস্থান নেন। 

২০১০ সাল থেকে রংপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা হয়ে আসছে। এবার রংপুরে ষষ্ঠ বারের মতো ইজতেমা হচ্ছে। 

আয়োজকরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হতে শুরু করেন। এখানে রংপুর মহানগর ও সদর উপজেলাসহ তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা এবং কাউনিয়া উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসছেন। ইজতেমায় বয়ান করতে রাজধানী ঢাকাসহ ইতিমধ্যে সৌদি আরব ও আফ্রিকা থেকে তাবলিগের মুরুব্বিরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিদেশি মেহমান, মুরব্বি এবং মুসল্লিদের সেবায় চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া দূরের মুসল্লিদের পরিবহন রাখার জন্য গ্যারেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের আশপাশে শতাধিক খাবারের দোকান বসানো হয়েছে। সহস্রাধিক বাথরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের এলাকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছেন। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাসহ পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে চার স্তরের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা রয়েছে। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও। 

ইজতেমা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম হাফিজ বলেন, ইজতেমাতে রংপুর মহানগরীসহ আট উপজেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। মাঠে বাঁশের খুঁটিতে টাঙানো পুরো শামিয়ানাটি ওয়াটার প্রুফ। এর নিচে একসংগে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এবার দুই লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, ইজতেমা মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুতের লাইন ছাড়াও শতাধিক জেনারেটর বসানো হয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য সার্বক্ষণিক অর্ধশতাধিক মেডিকেল টিম কাজ করবে মাঠে। এই ইজতেমা শেষে এখান থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাবেন।

মেট্রোপলিটন হাজীরহাট থানার ওসি রাজিব বসুনিয়া জানান, ইজতেমায় নিরাপত্তার জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সাদা পোশাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যররা সার্বক্ষণিক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

বিভি/জেএ/এএন

মন্তব্য করুন: