• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

৫ ঘণ্টা আগুনে পুড়লো ভৈরবের জুতার মার্কেট, ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি

সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৭ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৭:০২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
৫ ঘণ্টা আগুনে পুড়লো ভৈরবের জুতার মার্কেট, ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি

ভৈরবে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক পাদুকা দোকানের গোডাউনের মালামাল পুড়ে ছাই। ব্যবসায়ীদের দাবি ২০-৩০ কোটি টাকা মালামাল ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ৫ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ ঘটনায় ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান সবুজকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব পৌর শহরের উপজেলার সামনে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। 

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে তৃতীয় তলায় একটি জুতার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরর্বতী আগুন বেড়ে গিয়ে মার্কেটের শতাধিক পাদুকা দোকানের গোডাউনে আগুন লাগে। এতে পাদুকা দোকানের গোডাউনে থাকা ২০-৩০ কোটি টাকার জুতাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কিভাবে গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেই কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে বিদ্যুতের লাইন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস । 

পাদুকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া বলেন, সামনের জুতার সিজন উপলে মার্কেটের সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীরা তাদের গোডাউনে অনেক মালামাল স্টক রেখেছিলো। এসব গোডাউনে একেকজন ব্যবসায়ী ৬০-৭০ লাখ টাকার মালামাল তাদের গোডাউনে মজুদ রেখেছিলো । কিন্তু এসব গোডাইনের মালামাল মুহুর্তের মধ্য আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। 

তিনি জানান,  এই মার্কেটে ৫০-৬০ টি গোডাউন ছিলো তাদের মধ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজু ফুডওয়ারের মালিক। তাছাড়া পাদুকা সমিতির সভাপতি আল আমিন মিয়ার একটি গোডাউন পুড়েছে তাতে ২০-৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এ তি কিভাবে পুষিয়ে উঠববে সেই ভাবনায় রয়েছে তারা। এখন ভৈরবের পাদুকা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি মো.আল আমিন বলেন, হাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় আমার একটি জুতার গোডাউন রয়েছে। মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজের দোকানে বসে ছিলাম হঠাৎ শুনি উপরের তলার গোডাউনে আগুন লাগছে সেই খবর শুনেই ছুটে যায়। পরে আমরা আগুন নেভাতে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। মার্কেটে আমারর একটি গোডাউন ছিলো সেখানে জুতাসহ ২০-২৫ লাখ টাকা মালামাল ছিলো। এখন সব মাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তো আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই মার্কেটে যারা তিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের যদি সরকারিভাবে কোন সহযোগিতা প্রদান না করে তাহলে সকল ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাবেন বলে তিনি জানান ।

এ বিষয়ে ভৈরব নদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুৃল ইসলাম রাজন জানান, হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট এক সাথে দীর্ঘ চার ঘণ্টা কাজ করে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।। যেহেতু কারখানায় কয়েক শতাধিক গুদাম রয়েছে। সেসব গুদামে জুতাসহ পাদুকা তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে তা আগুনের জন্য ভয়ংকর। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: