• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছাদ ধসে শ্রমিক হতাহত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ২১:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ছাদ ধসে শ্রমিক হতাহত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে লেবার মাঝি জালাল খান জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট বেদারুল ইসলাম ও  আদালতের ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।

মামলায় আসামি অপর আসামিরা হচ্ছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, ঠিকাদার সেলিম ও সাব-ঠিকাদার   প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত।  

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান,আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দায়িত্বে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের শান্তি দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দিয়েছে। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয় ও  ৫ জন আহত হন।

মৃত এক শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২), অন্যজন হচ্ছেন, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।

আহতরা হলেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে হাসান (২৪), মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।

এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

বিভি/এইচএমপি/এজেড

মন্তব্য করুন: