• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রমে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমবে, লেখাপড়া হবে আনন্দময়

আরিফুল হক

প্রকাশিত: ১৬:২০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর নতুন শিক্ষাক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষা না রাখা, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষাবিদরা বলেছেন, এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়া আরও আনন্দময় হবে এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। তবে শিক্ষকদেরও আরও প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা নতুন শিক্ষাক্রমে সোমবার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ দশম শ্রেণীর আগ পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না। মাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কোনো বিভাজনও থাকছে না আর। মাধ্যমিক পরীক্ষার ধরনেও আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষাটা উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ইতিবাচক। এটা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে যে বাধা ছিলো তা দূর হবে। এতো কম বয়সে পাবলিক পরীক্ষা কোনোভাবেই কাম্য না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর-এর শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে সবাই সব বিষয়ে পরবে এবং জানবে। সাইন্সের ছেলে-মেয়েরা যেটা জানতো অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও সেটা পড়বে। এতে করে জ্ঞানের যে একটা পার্থক্য এবং গ্যাপ থাকতো সেটা আর থাকবে না। আমি নিজেই সাইন্সের শিক্ষার্থী কিন্তু আর্টস এবং কমার্সের অনেক কিছুই বুঝি না। কিন্তু আমার তো দৈনন্দিন জীবনে সেগুলো কাজে লাগে। এখন সবাই সবকিছু জানবে এবং শিখবে।

সরকার বলছে, শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের উপযোগী করা এবং মুখস্থ বিদ্যার নির্ভরতা কমিয়ে পারদর্শিতার ওপর গুরুত্ব দিতেই জাতীয় শিক্ষাক্রম সাজানো হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার এই লক্ষ্য অর্জনে বড়ো দায়িত্ব পালন করতে হবে শিক্ষকদের।

অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার বলেন, শিক্ষক বুঝুক বা না বুঝুক শিক্ষার্থীদের সেটা মুখস্থ করতে হবে- এমন ব্যাপারও কিন্তু ছিলো। এখন সেটা থাকবে না। শিক্ষকদের বুঝতে হবে, বুঝাতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা আনন্দের সংগে শিখবে। এবং এই জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারবে।
 
ভালো এই সিদ্ধান্ত যাতে রাজনৈতিক বা অন্য কোন চাপে বন্ধ না হয়, সেজন্য সোচ্চার থাকার আহবান শিক্ষাবিদদের।

বিভি/এমএস

মন্তব্য করুন: