• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

অর্থনৈতিক বেহাল দৃশ্যপট পাল্টেছে জলঢাকার মানুষের 

অসীম চৌধুরী, নীলফামারী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৭:১০, ২৭ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
অর্থনৈতিক বেহাল দৃশ্যপট পাল্টেছে জলঢাকার মানুষের 

যুগ যুগ ধরে বোরো ফসলি জমির ওপর নির্ভর করেই কোনো রকমে চলতো নীলফামারীর জলঢাকার মানুষের জীবন-জীবিকা।

বছরে একবার বোরো ধান চাষ করেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানীর কারণে প্রতিবছর লোকসান গুণতে হতো তাঁদের।

ঘরে ঘরে দারিদ্র্যতা ও বেকারত্ব লেগেই থাকতো। কর্মসংস্থানের অভাবে দলে দলে গ্রামের বেকার যুবকরা ঢাকামুখী হতেন তবুও কাটতো না এলাকার অর্থনৈতিক দুরাবস্থা।

যুবকরা বিভিন্ন জেলার ছুটতো কাজের সন্ধানে, কেউ কুমিল্লা কেউবা চট্টগ্রাম, ফেনিসহ সারাদেশে।

অর্থনৈতিক এই বেহাল দৃশ্যপট এখন পাল্টে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে মাছচাষ করে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার যুবকরা এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

মাছ উৎপাদন, আহরণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণ কাজে অনেক বেকার যুবকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের। পাশাপাশি মিটছে আমিষের চাহিদাও।

উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের যুবক সোহেল আহমদ বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করেন বাণিজ্যকভাবে মাছ চাষ। বর্তমানে তার ২৮ শতাংশ জমির একটি বিরাট পুকুরসহ আরও ৪টি পুকুর রয়েছে। এখানে মাছ চাষ করে প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকা লাভবান হচ্ছেন তিনি।

সোহেল আহমদ বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে আমি লাভবান। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে আছি। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাছচাষের খামারকে আরও সম্প্রসারণ করা। শুধু চাকরির আশায় না থেকে এলাকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লিসমা হাসান বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মাছচাষের পুকুরের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি মাছচাষ উপযোগী, যে কারণে এখানে মাছের উৎপাদন হয় ভালো। আমরা মাছ চাষীদেরকে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সকল ধরনের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।

 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: