• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গারা শান্তি, নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১১:৫২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
রোহিঙ্গারা শান্তি, নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি নিরাপত্তা, শান্তি অর্থনীতি, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বনে মন্তুব্য করেছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর একটি হোটেলে চারদিনব্যাপী ৪৬ তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যে কোনো সংঘাত ও সংকটে প্রত্যেক জাতির ওপর প্রভাব ফেলে। এটা নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল উন্নয়কে বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি জানান, বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করা বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অংশ। দেশে স্বশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘের অধীনে শান্তি রক্ষায় সেই ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ধারা সব সময় বজায় থাকবে বলে অঙ্গিকার করেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি জানান, বাংলাদেশ সব সময়ই অঞ্চলিক ও বিশ্বের সব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে।  

সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়ন বিস্ময়। দারিদ্র কমানো, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, শিশু মৃত্যুর হার কমানো, অসমতা দূর, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে।

সম্মেলনে ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলের ২৬ টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। ৪৬তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।

আইপিএএমএস হলো অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: