আরব আমিরাতকে হারাতেও ঘাম ছুটলো টাইগারদের
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের গা গরম করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথমটিতে জিততে একটু কষ্টই করতে হলো বাংলাদেশকে। পুচকে দলকে হারাতেও বিশ ওভার বোলিং করতে হয়েছে। ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে ৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নুরুল হাসান সোহানরা।
দুই ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রান তোলে টাইগাররা। জয়ের জন্য স্বাগতিক আরব আমিরাতের দরকার ছিল ১৫৯ রান। কিন্তু ২ বল বাকি থাকতে ১৯.৪ ওভার শেষে ১৫১ রান তুলতে সবগুলো উইকেট খুইয়ে বসে আমিরাত। ফলে ৭ রানে জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত আটটায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে আফিফ হোসেনের ফিফটি এবং সোহানের ঝড়ে দেড়শ ছাড়ানো স্কোর পেয়েছে সফরকারীরা।
তবে শুরুতে ৫০ রানের আগেই ৪টি উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে। ৯ ওভার ব্যাটিং করে অনবদ্য ৭৮ রান তোলে আফিফ ও সোহান জুটি। ৫৫ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ। সোহান ২৫ বলে ৩৫ রানের ছোট্ট একটা ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
এর বাইরে মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ বলে ১২ এবং লিটন দাস ৮ বলে ১৩ রান করেন। ব্যর্থ হন সাব্বির, মোসাদ্দেক ও ইয়াসির আলী।
জবাব দিতে বাংলাদেশকে খানিকটা বিব্রতই করেছিল আরব আমিরাত। মনেই হচ্ছিল হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২৭ রানের ওপেনিং জুটি এবং ৩৯ রানের ওয়ানডাউন জুটি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল আমিরাতকে। কিন্তু তা হতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজ ২টি উইকেট নিলেও মিরাজ ও শরিফুল ৩টি করে উইকেট নেন।
শেষ ওভারে শরিফুলই ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২ উইকেট হাতে রেখে ১১ রান দরকর ছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুটি উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করার আগের বলে ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে চাপ বাড়ান সাইফউদ্দীন। তবে চতুর্থ বলে ক্যাচ গেলে সেটা আর ফেলেননি ফেনীর এই অলরাউন্ডার।
দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর)।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: