জীবনে ব্যর্থতাও প্রয়োজন!
ড. মু. আলী আসগর
আমি এমএসসি পাস করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক পদে আবেদন করলাম। আমার লিখিত পরীক্ষা কোন এক শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষায় টিকে ভাইভায় কার্ড পেলাম। আমি যথারীতি ভাইভা বোর্ডে গেলাম। আমাকে কম্পিউটার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলো। তখন কেবল কম্পিউটার এসেছে। আমি ভদ্রভাবে বললাম, জানি না, চাকরি পেলে শিখে নিব। তারপর কয়েকটি প্রশ্ন করলেন। আমি ঠিকঠাক উত্তর দিলাম। তারপর ভাইভা বোর্ডের সভাপতি বলে বসলেন, 'আপনার (আমার) একাডেমিক রেজাল্ট ভালো। পরে আরও ভালো চাকরি পেলে থাকবেন না'। আমি ভান ভনিতা না করে বললাম, Better Opportunity পেলে সকলেই গ্রহণ করবে।
যাই হোক, সেই চাকরি হলো না। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসিক ১৬০০/ টাকার স্কলারশিপে এমফিল কোর্সে ভর্তি হলাম। ফুল ফোকাস করলাম - এমফিল, বিদেশে স্কলারশিপ সহ উচ্চশিক্ষা ও বিসিএসে। কোনটাই কোনটার প্রতিবন্ধক নয়, বরং পরিপূরক। ইংরেজি - বিদেশে স্কলারশিপ পেতে ও বিসিএসে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস প্রিলিতে টিকে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জাপান সরকারের মনবুশো স্কলারশিপ [মাসিক ১৮৪,০০০/ ইয়েন (বর্তমানে ১৩০০০০/ টাকা)] আল্লাহর দয়ায় পেয়ে গেলাম। আমি জাপানে গিয়ে এক জাপানিজ শিক্ষার্থীর কাছে গবেষণা রিলেটেড কম্পিউটার কাজ শিখেছিলাম।
ভালোমন্দ যাই হোক, আমার ভেতরে 'উল্টোপাল্টা মেনে না নেওয়া', 'হার না মেনে লেগে থাকা', 'একাকী হয়ে গেলেও অবস্থানে অটল থাকা' এ বৈশিষ্ট্যগুলো তীব্রভাবে আছে। একারণে যেমন প্রতিকূল পরিবেশ এসেছে, অন্যদিকে সাফল্যও এসেছে।
লেখক : প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন: