• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে’

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
‘দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে’

ছবি: বিভি ডিজিটাল

দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ পর্যটন পণ্য। পর্যটন শিল্পের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র গতিশীল নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য কাজ করছে সরকার।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুকিং শো এবং ঘোড়ার গাড়ির র‌্যালি উদ্বোধন করেন।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন এদেশের গণমানুষের মুক্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পদ্ধতির মাধ্যমেই এদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে UNWTO ঘোষিত এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে পর্যটন’ আসলে বঙ্গবন্ধুর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনকেই প্রতিফলিত করছে। 

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে পর্যটন খাতে এখন পর্যন্ত মোট কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। ২০১৯ সালে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন খাতের অবদান ছিলো ৯৫০.৭ বিলিয়ন টাকা যা জিডিপির ৪.৩০ শতাংশ অদূর ভবিষ্যতে তা ৬ শতাংশে পরিণত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের অবদান বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র কক্সবাজারেই তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পার্ক তিনটির কাজ সমাপ্তির পর প্রতিবছরে এতে বাড়তি ২শ’ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া দেশের প্রান্তিক মানুষকে পর্যটন শিল্পে আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যটন ও কমিউনিটি বেইজড পর্যটন উন্নয়নে কাজ করছি। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এই সুযোগ দেশের জাতীয় অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তা  জিডিপিতে পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।

মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পৃথিবীর পর্যটন শিল্প একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণের কারণে একটি দীর্ঘসময় পর্যটন শিল্পের সংগে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পসমূহের মধ্যে পর্যটন অন্যতম। বাংলাদেশও বৈশ্বিক এই পরিস্থিতির বাইরে নয়। দীর্ঘসময় ব্যবসা করতে না পারায় আমাদের পর্যটন শিল্পের আর্থিক ক্ষতি অনেক। বর্তমানে দেশে সংক্রমণ কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পটগুলো ও এ শিল্পের সংগে সম্পৃক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে সকল পর্যটন কেন্দ্র। করোনার এই সময়েও প্রায় ২ কোটি অভ্যন্তরীণ পর্যটক দেশের ভিতরে ভ্রমণ করেছেন। গতি ফিরতে শুরু করেছে দেশের পর্যটন শিল্পের।

তিনি আরো বলেন, মহামারির কারণে আমাদের পর্যটন শিল্পের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত পর্যটন অংশীজনদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১,৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।  

বিভি/এসআই/এসডি

মন্তব্য করুন: